প্রতীকী ছবি।
বাড়ি, সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দিচ্ছিলেন না বৃদ্ধ পিতা। সেই রাগে বাবা সমীর মল্লিককে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলে সঞ্জীবের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার এ ঘটনা ঘটেছে বারাসতে, নবপল্লির ডিপ-টিউবওয়েল এলাকায়। বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার বা তাঁদের বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার ঘটনা ইদানীং প্রতিদিনই সামনে আসছে। তাতেই নবতম সংযোজন এই ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, রক্তাক্ত অবস্থায় ষাটোর্ধ্ব সমীরবাবু নিজেই যান বারাসত থানায়। পরে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সন্ধে ৭টা নাগাদ সেখানেই মারা যান সমীরবাবু। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সমীরবাবুর বয়ান রেকর্ড করানো হয়। সেখানে সমীরবাবু জানান, ঘটনার সময় পুত্রবধূ সেখানে ছিলেন। তবে তিনি আঘাত করেননি, আবার বাধাও দেননি। মৃত্যুর আগে ওই বৃদ্ধের কথায়, ‘‘ছেলে-বৌমা মা-বাবাকে দেখবে না, আবার সম্পত্তির জন্য মারধরও করবে! মা-বাবা মারা গেলে সম্পত্তি তো ছেলেমেয়েদেরই হয়।’’
সঞ্জীব পেশায় কাঠের মিস্ত্রি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাবাকে নিজের নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সঞ্জীব ও তার স্ত্রী চাপ দিচ্ছিল। শনিবার তা চরম আকার নেয়। এ দিন বিকেলে সঞ্জীব কাজ থেকে ফেরার পর সম্পত্তি হস্তান্তর নিয়ে বাবা-ছেলের কথা কাটাকাটি শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তার পর রক্তাক্ত অবস্থায় সমীরবাবুকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, শুধু ধারাল অস্ত্র দিয়েই নয়, টিউবওয়েলের হাতল দিয়েও সমীরবাবুকে মারধর করা হয়। তখন বাড়িতে ছিলেন না ওই বৃদ্ধের স্ত্রী পুষ্পদেবী। তিনি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে এসে দেখি, এই কাণ্ড।’’
বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধের মুখে ও শরীরে ছুরি জাতীয় এবং ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার পিছনেও গভীর আঘাতের চিহ্ন আছে।’’ মারধরের সময় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার কারণে এমন চোট হয়ে থাকতে পারে বলে জানান সুপার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy