কাল বলেছিলেন, পিকচার অভি বাকি হ্যায়। কিন্তু সিনেমা তো শেষ হয়ে গেল!
সৌমিক: কে বলেছে, এখন ট্রেলার চলছে। সিনেমা তো এখনও শুরুই হয়নি। দেখুন না, আগে আগে হোতা হ্যায় কেয়া!
বিধানসভা ভোটে জিততে পারেননি। পদ বলতে ছিল, ডোমকলের পুরপ্রধান। এখন তা হলে আপনি তৃণমূলের কে?
সৌমিক: আমি এখনও পুরপ্রধান পদেই আছি। কারণ পুর-আইন মেনে অনাস্থা হয়নি। আমি চাইলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারতাম। কিন্তু দলকে বিব্রত করতে চাইনি বলেই আদালতে যাইনি। মনে রাখবেন, কর্মী হয়েই আমি ডোমকলে তৃণমূলকে দাঁড় করিয়েছিলাম।
আচ্ছা, ডোমকলে আপনার জনপ্রিয়তা এমন শূন্য হল কী করে?
সৌমিক: জনপ্রিয়তা তো ১৫ জন লোক নিয়ে হয় না। ডোমকলের হাজার হাজার মানুষ আমার সঙ্গে আছেন, মিলিয়ে নেবেন।
এক বারও কি মনে হচ্ছে না, কোথাও ভুল হয়ে গেল?
সৌমিক: কোনও ভুল হয়নি। যদি কখনও ভুল করেও থাকি, তা হলে দলের ধরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।
বিজেপিতে যোগ দেবেন?
সৌমিক: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা কখনও ভাবতে পারি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি দলের এক জন কর্মী হিসেবে সব সময়ে আছি। সারা জীবন থাকব। বাবা চলে যাওয়ার পরে তিনিই আমার অভিভাবক।
অভিষেক না কি শুভেন্দু— হেরে কাকে জিতিয়ে দিলেন?
সৌমিক: দলকে না জানিয়ে অনাস্থা নিয়ে আসা হয়েছে। দল কোনও ভাবে তাদের সঙ্গে নেই। তৃণমূল ভবনে ডেকে সব কাউন্সিলরদের সামনে সে কথা জেলা তৃণমূল পর্যবক্ষেকও বলেছেন। ফলে ওঁদের কারও হারা-জেতার প্রশ্ন নেই। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
হেরে যাওয়া এমন বিষণ্ণ দিনে কাকে বেশি মনে পড়ে?
সৌমিক: রাজনৈতিক কোনও টালমাটাল অবস্থা তৈরি হলে সবচেয়ে বেশি বাবাকে মনে পড়ে। তবে বাবার অনুপস্থিতিতে এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সব কথা ভাগ করে নিই। তাঁদের পরামর্শ মেনেই চলি।
সাক্ষাৎকার: শুভাশিস সৈয়দ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy