‘আষাঢ় আকাশ ছেয়ে’। নিজস্ব চিত্র।
অউর ইয়ে মৌসম হাসিন।
দুপুরেই নামল সন্ধ্যা। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ আকাশ ছেয়ে যায় কালো মেঘে। এরপরই বিকেল থেকে কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। বৃষ্টি শুরু হয়েছে সংলগ্ন রাজ্য ওড়িশার ভুবনেশ্বর ও পুরীতেও। এই আভাসই জানান দিল দক্ষিণবঙ্গ-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে। সময়ের সামান্য আগেই চলতি বছরে প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু।
মৌসম ভবনের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলা ও সিকিমে বর্ষা প্রবেশ করবে। তিনি বলেন, বীরভূম, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় মৎস্যজীবীদের সমু্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
নয়াদিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, চলতি বছরে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকই থাকবে। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বে, ওড়িশার কিছু অংশে, উত্তর-পূর্ব ভারতের বাকি রাজ্য-সহ পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের বাকি অংশে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রবেশ করছে বর্ষা।
আরও খবর: বানভাসি মুম্বই, ব্যাপক যানজটে ভোগান্তি শহরে
টানা বৃষ্টিতে ভাসছে মুম্বই, বিপর্যস্ত জনজীবন
বর্ষার আগমনীতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস মিলেছে। প্রবল দাবদাহ নাকাল হচ্ছিলেন বাংলার বাসিন্দারা। তা থেকে রেহাই মিলেছে আজ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, ওড়িশা, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy