উপলক্ষ ছিল যুব সংসদের পুরস্কার বিতরণ। সংসদীয় রীতিনীতির অনুসরণে প্রতিযোগিতার শেষে দর্শকের আসনে স্কুলপড়ুয়ারা। সেই মঞ্চেই বিধানসভায় কার কাঙ্খিত ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে প্রায় বিতর্ক হল স্পিকার ও বিরোধী দলনেতার! সাক্ষী ডেপুটি স্পিকার হায়দর আজিজ সফি এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিধাননগর কলেজে শনি ও রবিবার বসেছিল যুব সংসদের চূড়ান্ত পর্বের আসর। সেখানকার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান উপক্ষে সোমবার পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে অতিথি ছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। বিধানসভার সাম্প্রতিক অধিবেশনে বিরোধী পক্ষ যে ভাবে ওয়াক আউট ও বয়কট করেছে, প্রকারান্তরে সেই অভ্যাস নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করেন স্পিকার। তিনি বলেন, বিধানসভা বিতর্ক ও আলোচনার জায়গা। সেখানে কথায় হইচই, ওয়াক আউট করলে সংবাদমাধ্যমে খবর হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না! নানা প্রশ্নে ক্ষোভ ব্যক্ত করে অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতার জন্য এর আগে বিধানসভার মধ্যেই বিরোধীদের সমালোচনা করেছেন স্পিকার। যুব সংসদের মঞ্চে এ দিন তাঁর সেই মনোভাবেরই প্রতিধ্বনি হয়েছে। পরিষদীয় মন্ত্রী অবশ্য ভাষণে বিরোধীদের সাম্প্রতিক ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করে কিছু বলেননি।
বিরোধীদের তরফে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু কোচবিহারে জেলা সম্মেলন থেকে ফেরার পথে ডালখোলার ট্রেন অবরোধে আটকে পড়ায় তিনি অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। বিরোধী দলনেতা মান্নান প্রথমে উল্লেখ করেন, স্পিকারের আসনই সংসদীয় গণতন্ত্রে সর্বোচ্চ। সেই আসনের প্রতি তাঁরা অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বিরোধী নেতার অভিযোগ, বিধানসভায় মহামারী নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাওয়া যায় না। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) প্রসঙ্গে মুলতবি প্রস্তাব এনে আলোচনা করা যায় না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক করা যায় না। তা হলে বিরোধীরা বিধানসভার ভিতরে করবে কী!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy