খোশমেজাজে: ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি দেখতে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সুমন বল্লভ
লোকসভা ভোটের আবহে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ বড় রাজনৈতিক মাত্রা পেতে পারে বলে দল মনে করছে। আজ, শনিবার ধর্মতলায় মঞ্চ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট বার্তা দিতে পারেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।
শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবে বিজেপি সরকারের জয় নিশ্চিত হলেও মমতা তাকে বিশেষ আমল দিতে চাননি। তাঁর মতে, লোকসভায় এই সংখ্যাধিক্য প্রকৃত নির্বাচনে থাকবে না। সেখানে ‘মানুষের রায়’ বিজেপির বিরুদ্ধে যাবে। এ জন্য তিনি বিরোধী জোট গড়তে তৎপর। তাঁর আশা, ওই জোট বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
এই অবস্থায় আজ তিনি কী বার্তা দেন, বিশেষত কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী বোঝাপড়ার বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেন কি না, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। সেই সঙ্গে নিজের দলকে, বিশেষ করে ছাত্র-যুবদের তিনি শৃঙ্খলার শিক্ষা দিতে পারেন বলেও তৃণমূলের একাংশের অনুমান।
সম্প্রতি কলেজে ভর্তি-চক্রে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম জড়ানোয় মমতা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। শুক্রবার দলীয় নেতাদের কয়েক জনকে তিনি ফের জানিয়ে দেন, যাঁরা ছাত্র নন, কলেজ-রাজনীতিতে তাঁদের হস্তক্ষেপ তিনি বরদাস্ত করবেন না। বিভিন্ন কলেজে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে দলীয় কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ, নেতারা যুক্ত থাকেন বলে তাঁর কাছে খবর। তাঁর এ দিনের নির্দেশ সেই প্রবণতা বন্ধ করারই চেষ্টা বলে অনেকের ধারণা। আজ খোলা মঞ্চেও তিনি কিছু বলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
যুব কংগ্রেসকে যে মূল সংগঠনের শাখা হিসেবে কাজ করতে হবে, মাসখানেক আগে দলীয় সম্মেলনে সে কথা জানিয়েছেন মমতা। বিভিন্ন জেলায় যুব এবং দলের মূল অংশের মধ্যে ‘সুসম্পর্ক’ নেই বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দলনেত্রী আজ আবার কোনও বার্তা দেন কি না, নজর সেখানেও।
২১ শের মঞ্চে প্রতি বছর বিরোধী দল থেকে কেউ না কেউ তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার ২৫ তম বর্ষেও কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ ও মালদহের কয়েক জন বিধায়ককে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। জল্পনা প্রাক্তন এক বাম সাংসদকে নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy