প্রতীকী ছবি।
প্রতারকের পাল্লায় পড়ে আড়াই লক্ষ টাকা তো গেলই। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নামে সেই প্রতারকের দেওয়া ভুয়ো নথি নিয়ে এসএসসি-র দফতরে ইন্টারভিউ দিতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ে হাজতেও ঢুকতে হল এক চাকরিপ্রার্থীকে।
পুলিশ জানায়, ধৃত চাকরিপ্রার্থীর নাম অরিজিৎ দাস। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। গ্রুপ ডি-র চাকরির ‘ভেরিফিকেশন’ বা তথ্য যাচাইয়ের জন্য এসএসসি যে-ধরনের ইন্টিমেশন লেটার দেয়, সোমবার সেই চিঠি নিয়ে তিনি কলকাতার এসএসসি অফিসে আসেন। চিঠি দেখে সন্দেহ হয় এসএসসি-র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারের। তিনি বলেন, ‘‘ওই চিঠিতে লেখা ছিল, ২৬ অগস্ট বেলা ২টোয় ২৯ নম্বর টেবিলে ওই প্রার্থীর তথ্য যাচাই। কিন্তু এ দিন আমাদের কোনও ভেরিফিকেশনই ছিল না। ২৯ নম্বর টেবিলও নেই। বুঝতে পারি, ইন্টিমেশন চিঠিটা জাল। সঙ্গে সঙ্গে সল্টলেক পূর্ব থানায় খবর দিই।’’
ওই প্রার্থী জানান, তিনি ২০১৬ সালে এসএসসি-র গ্রুপ ডি-র পরীক্ষা দেন, কিন্তু কৃতকার্য হতে পারেননি। ২০১৮ সালে সল্টলেকে এসএসসি-র এই অফিসে অন্য এক চাকরির খোঁজ নিতে এসে বিক্রম মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। বিক্রম তাঁকে বলেন, এসএসসি অফিসে তাঁর জানাশোনা আছে। তিনি চার লক্ষ টাকার বিনিমিয়ে গ্রুপ ডি-র পদে চাকরি পাইয়ে দিতে পারবেন।
অরিজিতের দাবি, তিনি তিন দফায় আড়াই লক্ষ টাকা দেন। বিক্রম তাঁকে একটি ওয়েবসাইট দেখিয়ে জানান, এটি এসএসসি-র ওয়েবসাইট। সেই ওয়েবসাইটে অরিজিতের নাম দেখিয়ে বিক্রম বলেন, তিনি লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন। বাকি শুধু ইন্টারভিউ। অরিজিৎ বলেন, ‘‘ওয়েবসাইটে নিজের নাম দেখে আমি নিশ্চিত হয়ে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে দিই। বিক্রমের দেওয়া ইন্টিমেশন লেটার নিয়েই এ দিন এসএসসি-র অফিসে আসি।’’
সৌমিত্রবাবু জানান, তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, শুধু ওই ইন্টিমেশন লেটার নয়, এসএসসি-র সাইটটাও জাল। সল্টলেক পূর্ব থানার তদন্তকারী অফিসারেরা জানান অরিজিৎকে জেরা করে এই প্রতারণা চক্র ধরার কাজ শুরু হবে। এসএসসি-র সদরেই কোনও প্রতারণা চক্র সক্রিয় কি না, খতিয়ে দেখা হবে তা-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy