Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সম্প্রীতিও শেখাচ্ছে জেভিয়ার্স: মুখ্যমন্ত্রী

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাম্প্রতিক গোলমালের প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং তা রক্ষার ক্ষেত্রে সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে এ ভাবে সরব হয়েছেন।

সম্মান: নিউ টাউনে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী ও শিল্পপতি লক্ষ্মীনিবাস মিত্তলের হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে ছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজও। শুক্রবার। ছবি: শৌভিক দে।

সম্মান: নিউ টাউনে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী ও শিল্পপতি লক্ষ্মীনিবাস মিত্তলের হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে ছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজও। শুক্রবার। ছবি: শৌভিক দে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০৫:০২
Share: Save:

শিক্ষার প্রসারে তাদের অবদান অনস্বীকার্য তো বটেই। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাতেও সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নিউ টাউনে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিক্ষা ও সম্প্রীতির ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক অবদানের উচ্ছ্বসিত উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাম্প্রতিক গোলমালের প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং তা রক্ষার ক্ষেত্রে সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে এ ভাবে সরব হয়েছেন। মমতা এ দিন বলেন, ‘‘শিক্ষা মানুষকে মানুষ করে তোলে। এ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’’ খ্রিস্টান মিশনারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দীর্ঘদিন ধরে কী ভাবে সামাজিক আলোকবর্তিকার ভূমিকা পালন করছে, বারবার তার উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই শিক্ষার প্রসারে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

শুধু প্রশংসা নয়, সরকারের দিক থেকে সেন্ট জেভিয়ার্সকে সব রকম সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করেছেন, রাজ্য সরকারের কাছে সেন্ট জেভিয়ার্স যতটা আশা করে, তার থেকে বেশি দিতে তাঁরা তৈরি। ওই প্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠনের উচ্চ মানের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, তিন-চার বছরের মধ্যেই হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডের সঙ্গে পাল্লা দেবে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়।

সেন্ট জেভিয়ার্স সূত্রের খবর, পার্ক স্ট্রিটে তাদের পুরনো ক্যাম্পাসের পাশাপাশি নিউ টাউনের এই নতুন ক্যাম্পাসেও স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন চলবে সমান ভাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হল স্নাতকোত্তর স্তরে ইংরেজি, মাস কমিউনিকেশন, সোশ্যাল ওয়ার্ক এবং বাণিজ্যের পঠনপাঠন দিয়ে। সেই সঙ্গে স্নাতক স্তরে পড়ানো হবে বাণিজ্য এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী, শিল্পপতি লক্ষ্মীনিবাস মিত্তল। বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে এ দিন তাঁদের আর্থিক সহায়তায় তৈরি ‘লক্ষ্মী এবং উষা মিত্তল ফাউন্ডেশন ভবন’-এরও উদ্বোধন হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীনিবাসের স্ত্রী উষা ও বাবা মোহনলাল। নিজের বক্তৃতায় ‘ইস্পাত ম্যাগনেট’ লক্ষ্মীনিবাস বলেন, তাঁর জীবনের সাফল্যের ক্ষেত্রে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পাওয়া শিক্ষার ভূমিকার কথা বারে বারেই উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে ফোন নম্বর আদানপ্রদান করেন। মিত্তলকে এ রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকার আয়োজিত শিল্প সম্মেলন ‘বেঙ্গল লিডস’-এও মিত্তলকে আমন্ত্রণ জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE