পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
স্কুলপড়ুয়াদের ভার কমাতে পাঠ্যক্রম হ্রাসের নামে সিবিএসই ভারতের সংস্কৃতি, ভারতের সংবিধান, ভারতের ইতিহাস মুছে ফেলছে, ইতিহাসকে বিকৃত করছে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘সিবিএসই যে-পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তার তীব্র বিরোধিতা করছি।’’ সেই সঙ্গেই তিনি জানান, রাজ্যেও পাঠ্যক্রম কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সিবিএসই-র মতো ইতিহাস বিকৃত করে তা করা হবে না।
তা হলে পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রম কমানো হবে কী ভাবে? এর উত্তরে পার্থবাবু বলেন, ‘‘আমাদের সিলেবাস কমিটি এই বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে সিলেবাস কমানোর নামে সিবিএসই-র মতো আমরা কখনওই ভারতের সংস্কৃতিকে আঘাত করব না। ভারতের সংবিধানকে আঘাত করব না। কোনও চ্যাপ্টার বা অধ্যায় বাদ দিয়ে নয়, সময় কমিয়ে পাঠ্যক্রমে সব কিছু রেখে কী ভাবে কতটা কমানো যায়, আমরা সেই চেষ্টাই করব।’’
রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার জানান, পাঠ্যক্রম কমানোর বিষয়টি এখন আলোচনার স্তরে আছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই ব্যাপারে শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে আলোচনা করে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই যা করার করা হবে। ‘‘প্রথমে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই পাঠ্যক্রম কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তার পরে অন্যান্য শ্রেণির সিলেবাস হ্রাসের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। তবে যা-ই হোক না কেন, বৈজ্ঞানিক ভাবেই সব করা হবে,’’ বলেন অভীকবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy