শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
আসন্ন নতুন শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল এসইউসি। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পার্থবাবুর ঘরে গিয়ে তাঁকে দাবিপত্র দেন এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য, দলের প্রাক্তন সাংসদ তরুণ মণ্ডল এবং প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ নস্কর। পার্থবাবু জানান, রাজ্য সরকার নীতিগত ভাবে পাশ-ফেল ফেরানোর বিরোধী নয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে ফের চিঠি দেওয়া হবে।
পরে চণ্ডীদাসবাবু ব্যাখ্যা করেন, কেন্দ্রীয় সরকার স্কুলের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল তুলে দেওয়ায় সমাজে দু’রকম ছাত্রছাত্রী তৈরি হচ্ছে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের পড়ুয়ারা সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে ভর্তি হয়ে পাশ-ফেল না থাকায় কার্যত কিছু না শিখে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। ফলে তার পরের ক্লাসগুলিতে এবং পরবর্তী কালে চাকরি ক্ষেত্রের পরীক্ষায় তারা দাঁড়াতেই পারছে না। অথচ সম্পন্ন পরিবারের পড়ুয়ারা বেসরকারি স্কুলে পাশ-ফেল প্রথার মধ্য দিয়ে লেখাপড়া শিখছে। ফলে পরে সব ধরনের পরীক্ষায় তাদের সাফল্যের হার বেশি দেখা যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই চণ্ডীদাসবাবু বলেন, ‘‘এই বৈষম্য দূর করতে হলে প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশ-ফেল প্রথা ফের চালু করা দরকার।’’
পার্থবাবু পরে বলেন, ‘‘আমরা পাশ-ফেল প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে বহু বার চিঠি দিয়েছি। আবারও দেব। তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, পাশ-ফেল ফেরালে ফেল করা পড়ুয়াদের স্কুলছুট হওয়া ঠেকাতে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে? দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা উচিত বলেও মনে করি।’’
অন্য দিকে, স্কুলে মিড ডে মিলের দায়িত্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে দেওয়ার দাবিতে এ দিন পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল-সহ কয়েক জন প্রতিনিধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy