ছবি: রয়টার্স।
চালকল বা কিসান মান্ডি নয়, গ্রামে গিয়ে বোরো ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য খাদ্য দফতর। ১ মে থেকেই ওই ধান কিনতে মাঠে নামতে চাইছে তারা। এ বার লকডাউনের জেরে রেশনে বহু উপভোক্তাকে বিনামূল্যে এক দফায় এক মাসের খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছে সরকার। খাদ্য দফতরের দাবি, তাই বোরো মরসুমে ধান কেনার শিবির হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বুধবার বলেন, “আমাদের কাছে চাল থাকলেও, চাষিদের মুখের দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে চাল বিক্রি করে সেই টাকায় চাষিরা বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবেন।’’ খাদ্য দফতরের দাবি, বোরো মরসুমে রাজ্যে ১২ লক্ষ হেক্টর জমিতে ৬৬ লক্ষ টন ধান উৎপাদন হয়। অন্য বার বড়জোর পাঁচ লক্ষ টন ধান কেনা হয়। আশা, এ বার ২০ লক্ষ টন ধান কেনা যাবে।
খাদ্য সচিব মনোজ আগরওয়াল গত সোমবার প্রত্যেক জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও সমস্ত নিয়ম মেনে কী ভাবে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা যায় তার পরিকল্পনা করতে বলেন। জানানো হয়, ‘অন্নদাত্রী ‘অ্যাপ’-এর মাধ্যমেও ধান কেনা হবে। কী ভাবে কৃষকেরা ওই ‘অ্যাপ’ ব্যবহার করে ধান বিক্রি করবেন, তা নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। খাদ্যমন্ত্রী জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সমবায় সমিতি, নানা এজেন্সি, খাদ্য দফতরের ‘সিপিসি’-র (সেন্ট্রাল প্রোকিওরমেন্ট সেন্টার) কর্মীরা গ্রামে গিয়ে ধান কিনবেন। চাষিরা ধান বিক্রি করে হাতে-হাতে চেক পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy