সেতুর নজরদারির জন্য গড়া হবে ব্রিজ কমিশন।
সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়মিত নজরদারির জন্যে ‘ব্রিজ কমিশন’ গড়তে চায় রাজ্য। সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের প্রতিনিধি, পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদেরওই কমিশনে রাখা হবে। নতুন সেতু তৈরি থেকে শুরু করে পুরনো সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, তা দেখবে ব্রিজ কমিশন। গাফিলতি ধরা পড়লে, ব্যবস্থা নেওয়ারও ক্ষমতা থাকবে কমিশনের হাতে।নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়এখন বিদেশ সফরে রয়েছেন। তিনি ফিরে এসেএ বিষয়ে চূড়ান্ত শিলমোহর দেবেন।
মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর রাজ্যের ২০টি সেতুকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যেই শিলিগুড়িতে ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। সর্বশেষ বিপর্যয় ঘটেছে সোমবার, কাকদ্বীপে। ওই এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ ব্রিজ ভেঙে পড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। পোস্তা উড়ালপুল দুর্ঘটনার পর একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে, সেতু বা উড়ালপুল নির্মাণে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে। যাদের বরাত দেওয়া হচ্ছে, তাদের উপরেও নজরদারির কোনও ব্যবস্থা নেই। আবার পুরনো ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ সংশ্লিষ্ট দফতরের ই়ঞ্জিনিয়াররা ঠিকমতো করছেন না। তারই পরিণতি মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়া।
রাজ্যের সেতুগুলোর মধ্যে কোনওটি পূর্ত দফতরের আওতায় রয়েছে, কোনওটির দায়িত্বে আবার কেএমডিএ। এই দফতরগুলি টেন্ডারের মাধ্যমে সেতু নির্মাণের বরাত দিয়ে থাকে। ব্রিজ কমিশন গঠন করা হলে, এই দফতর থেকেও প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন। ওই কমিশনে প্রশাসনের তরফে কে বা কারা থাকবেন, তা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঠিক করে দেবেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: এ বার কাকদ্বীপ, নদীর উপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ ব্রিজ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy