—প্রতীকী ছবি।
কোনও অনিয়ম যেন না-হয়। কারও খপ্পরে পড়ে চাষিরা যেন ঠকে না-যান। মূলত এই দু’টি লক্ষ্যে এ বার আট ঘাট বেঁধে ধান কিনতে নামছে রাজ্য সরকার। কৃষকদের হাতে হাতে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ছাপানো হয়েছে চেক। শুধু তা-ই নয়, ধান কেনার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সমবায় কর্মীদের। গড়া হচ্ছে টাস্ক ফোর্স। সব রকম প্রস্তুতি শেষ করেই এ বার হাতে হাতে চেক কেটে শুরু হচ্ছে ধান কেনার পালা।
এই বিষয়ে শুক্রবার খাদ্য ভবনে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, পরিবহণমন্ত্রী তথা সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রায় দু’হাজার ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। সে-ক্ষেত্রে প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিকে ব্যবহার করতে চায় দফতর। ৮ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে ওই সব সমিতির কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা দেওয়া হবে বলে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেই সঙ্গে ধান কেনার বিষয়টি দেখাশোনার জন্য সাত জনের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করছে সমবায় দফতর। সব জেলা এবং খাদ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করবে সেই টাস্ক ফোর্স। চাষিদের ধানের দাম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ চেক ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্রের কাজকর্ম এ দিনই সাঙ্গ হয়েছে। এক-একটি জেলা প্রশাসনের তরফে সই করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পাঁচ আধিকারিককে।
এত দিন ধান বিক্রির টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেত। কিন্তু সেই টাকা সময়মতো পাওয়া যাচ্ছেন না বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে পরের পর অভিযোগ উঠছিল। খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানান, সেই জন্যই যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে এ বার ধান কেনার কাজ শুরু করা হচ্ছে। যাতে কোথাও টাকা পেতে সমস্যা না-হয়। সময়ে দাম না-পাওয়ার কোনও অভিযোগ যাতে আর না-ওঠে। চেক বা টাস্ক ফোর্স ছাড়াই অবশ্য ধান সংগ্রহের ধারাবাহিক কাজ চালু আছে। সেই প্রক্রিয়ায় শুক্রবার পর্যন্ত ১০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগৃহীত হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy