মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
‘ভিশন ১০-২০’ বা ‘দৃষ্টি দশ-বিশ’। ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ১০ এবং ২০ বছরের জন্য পৃথক ভাবে কাজের পরিকল্পনা তৈরি করবে রাজ্য। সেতু, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো নানা ক্ষেত্র আসছে এই পরিকল্পনার আওতায়।
প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, বিশেষ করে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সময় এসেছে। কারণ, রাজ্যে সেতু-উড়ালপুলের মতো পরিকাঠামোর বেশির ভাগেরই স্বাস্থ্য ভাল নয়। নতুন পরিকাঠামো তৈরির সঙ্গে সঙ্গে তার রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনারও প্রয়োজন রয়েছে। যা আগে সে-ভাবে করা হয়নি। তাই একের পর এক সেতুর বেহাল দশা ধরা পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ব্রিজ ভাঙছে। কোনও পরিকল্পনা নেই। সেই পরিকল্পনা আমরাই করছি। একসঙ্গে ৫০টা ব্রিজ খারাপ হলে তো মুশকিল। ১০ এবং ২০ বছরের লক্ষ্যমাত্রা রেখে এগোচ্ছি।’’
সরকারের শীর্ষ স্তরের খবর, প্রথম পর্যায়ে ১০ বছরের জন্য এবং পরবর্তী ২০ বছরে কী কী করতে হবে, তার রূপরেখা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে যে-বরাদ্দ হয়, তার কিছুটা অংশ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ রাখা জরুরি। কারণ, নতুন পরিকাঠামো তৈরির পাশাপাশি সেগুলির তত্ত্বাবধান প্রয়োজন। ফলে আগামী দিনে নতুন কী কী তৈরি করতে হবে, কোনগুলির রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি— সব কিছুকেই পরিকল্পনার আওতায় রাখতে হবে। তবে শুধু পরিকাঠামো নয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রকেও ‘ভিশন ১০-২০’-র আওতায় রাখা হয়েছে।
রাজ্যের দাবি, রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মূলধনী খাতে খরচ বেড়েছে ১১ গুণ। ছ’গুণ বেড়েছে পরিকল্পনা-ব্যয়। কৃষি এবং সহযোগী ক্ষেত্রগুলির ব্যয় ন’গুণ বাড়ানো হয়েছে। সামাজিক এবং পরিকাঠামো খাতের খরচ বেড়েছে যথাক্রমে সাড়ে চার এবং পাঁচ গুণ। ১৯৪৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কী কী কাজ হয়েছে এবং ২০১১ থেকে এ-পর্যন্ত তৃণমূল সরকার কী করেছে, তার খতিয়ান প্রস্তুত করছে রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy