ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
বাম জমানায় কেন্দ্রের সমহারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেওয়ার সুপারিশ করেছিল পে কমিশন। তাতে মন্ত্রিসভার সম্মতির পর রাজ্যপালের সই হয়ে গেজেট নোটিফিকেশনও হয়। কিন্তু তারপরও রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সমহারে ডিএ-র বিরোধিতা করছে কোন যুক্তিতে? ‘‘এ তো বিপজ্জনক সওয়াল।’’ কলকাতা হাইকোর্টে বললেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ডিএ মামলায় বৃহস্পতিবার মূল মামলাকারীদের আইনজীবী আমজাদ আলি সওয়াল করবেন। ওই দিন মামলার শুনানি শেষ হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যে হারে ডিএ পাচ্ছেন, তার তুলনায় অনেকটা কম এ রাজ্যের ডিএ। তা নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। আইএনটিইউসি অনুমোদিত কর্মী সংগঠন কনফেডারেশনের তরফ থেকে দায়ের করা মামলা রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল থেকে গড়িয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
আগের শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ১৯৫৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় উল্লেখ করেন। ওই রায়ে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের সমহারে ডিএ দিতে বাধ্য নয় রাজ্য সরকার। তার পাল্টা হিসাবে এদিন বিকাশবাবু যুক্তি দেন, ১৯৫৪ সালের সঙ্গে এখনকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। সংবিধান সংশোধন হয়েছে। বদল এসেছে অনেক আইনেও। তবে বিকাশের সেই সওয়াল নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। এমন কোনও পরিস্থিতি কি তৈরি হয়েছে, যাতে নির্দিষ্ট ভাবে ওই রায়টি তার বৈধতা হারাচ্ছে? এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দফতর ‘কড়া কথা’ শুনিয়েছে? বাবুল-দিলীপ প্রকাশ্য বচসা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
এরপর বিকাশবাবু ২০০৯ সালে বাম জমানায় পে কমিশনের ওই সুপারিশ ও গেজেট নোটিফিকেশনের বিষয়টি তুলে ধরেন। রাজ্য সরকার নিজের গেজেট বিজ্ঞপ্তিকে অস্বীকার করছে কী ভাবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। মঙ্গলবারই মূল মামলাকারী আইএনটিইউসি অনুমোদিত কর্মী সংগঠন কনফেডারেশনের তরফ থেকে আইনজীবী আমজাদ আলির সওয়াল করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কনফেডারেশেনের নেতা সুবীর সাহা বললেন, ‘‘এ দিন সময় একটু কম ছিল। তাই বিচারপতিদের পক্ষে দু’জনের সওয়াল শোনা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সওয়াল করবেন আমজাদ আলি।’’
আরও পড়ুন: ৪০ হাজার আসন ফাঁকা! ২০ অগস্ট পর্যন্ত ভর্তির সময় বাড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী
এর আগে যেদিন শুনানি হয়েছিল, সেদিন রাজ্যের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চান। কিন্তু দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যকে সওয়াল করার জন্য অনেক সময় দেওয়া হয়েছে, আর সময় দেওযা যাবে না। ফলে বৃহস্পতিবার আমজাদ আলির সওয়ালের পরেই মামলার শুনানি শেষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy