Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইনফোসিসের প্রস্তাব মেনেই জমিতে ছাড়

এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল ইনফোসিস। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সংস্থার প্রস্তাব মেনেই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত জমির ৫১% তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৭
Share: Save:

ইনফোসিসকে ‘ফ্রি-হোল্ড’ মালিকানাতেই জমি দিচ্ছে রাজ্য। সঙ্গে থাকছে জমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়। শুক্রবার এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল ইনফোসিস। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সংস্থার প্রস্তাব মেনেই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত জমির ৫১% তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ৪৯% অন্য কাজ করা যেতে পারে। আগের চুক্তি অনুযায়ী জমির ৭৫% তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল। বাকি ২৫ শতাংশ অন্য কাজে লাগানোর শর্ত ছিল।

নবান্ন সূত্রের খবর, জমির এই মিশ্র ব্যবহারের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে জমির ‘ফ্রি-হোল্ড’ মালিকানাও। পার্থবাবু বলেন, ‘‘ওরা জমির ব্যবহারের বদল চেয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছিল। সরকার ওই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, বাড়ির নকশা অনুমোদনের দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ৭৫ কোটি টাকার বিনিময়ে রাজারহাটে ৫০ একর জমি কিনেছে ইনফোসিস। ২০১০ সালের শেষে জমির টাকা দেয় তারা। প্রাথমিক ভাবে ৫০০ কোটি লগ্নি ও ৫০০০ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিও দেয় সংস্থাটি। এর পরে ‘সেজ’ বিতর্কে আটকে যায় প্রকল্প। ‘সেজ’ তকমা না-পেয়ে প্রকল্প গড়তে রাজি হয়নি ইনফোসিস। রাজ্য সরকারও জানিয়ে দেয় ‘সেজ’ তকমার বিরোধী তারা।

আরও পড়ুন: বাংলা, ইংরেজি, হিন্দিতে ‘বাংলা’ই চাইছে রাজ্য

অবশেষে গত মাসের শেষেই ইনফোসিসের জট খুলেছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সেজ দেওয়া হবে না। অন্য সব সুবিধা দেবে রাজ্য। ইনফোসিসও জানিয়েছে দেশের অন্যতম সেরা শিল্পবান্ধব রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক ভাবে ৫০ একর জমিতে প্রকল্প গড়তে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে ১০০০ মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।

‘সেজ’ তকমা ছাড়া প্রকল্প তৈরিতে ইনফোসিসের সায় দেওয়ার পেছনে জমির মালিকানার চরিত্র বদলই অন্যতম কারণ বলে মনে করছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহল। কারণ কর্পোরেট কর, আমদানি শুল্ক, পরিষেবা কর, উৎপাদন শুল্ক, কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর ছাড়ই ‘সেজ’-এ ব্যবসা করার প্রধান আকর্ষণ। যে ছাড় রাজ্য সরকারের দেওয়ার ক্ষমতা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Infosys Land ইনফোসিস
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE