ফাইল চিত্র
পশ্চিমবঙ্গে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পুনর্নিয়োগ বন্ধ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আবার জানাল, ৭০ বছর পর্যন্ত পুনর্নিয়োগ করা যাবে। সম্প্রতি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৬৫ বছরে অবসর নিলেও ৭০ বছর পর্যন্ত পড়াতে পারেন। ইউজিসি নতুন নিয়মে আবার সেটাই জানিয়েছে।
ইউজিসি বলছে, ৭০ বছর পর্যন্ত পড়ানো যাবে। অথচ রাজ্যে পুনর্নিয়োগ বন্ধ কেন, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শিক্ষক শিবিরের একটি বড় অংশ।
২০১৬-র নভেম্বরে শিক্ষকদের পুনর্নিয়োগ রদ করে রাজ্য সরকার। ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় শিক্ষকদের মধ্যে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ করা হল। কিন্তু তাতে ক্ষোভ মেটেনি। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন বারবার দাবি জানিয়েছে, অবসরের বয়স ৬৫ করা হোক।
পুনর্নিয়োগের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ইউজিসি-র বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, কলেজে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদে প্রোমোশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই পদে সরাসরি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ২০২১-এর জুলাই থেকে পিএইচ ডি বাধ্যতামূলক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরস বা এপিআই-এর পুরনো নিয়মই বলবৎ থাকবে। তবে তার প্রয়োগবিধি কিছুটা শিথিল হচ্ছে। এপিআই দেখে ডাকা হলেও নিয়োগ হবে ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতেই। আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে উপাচার্যের প্রতিনিধি থাকলেই চলত। এ বার থাকতে হবে উপাচার্যকেই।
নেট বা স্লেট পাশ না-করলেও পিএইচ ডি থাকলে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদে আবেদন করা যাবে। তবে পিএইচ ডি কোথা থেকে করছেন, সেই বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ থাকছে। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বেতনক্রম বলবৎ হবে।
ইউজিসি নতুন নিয়মে ৭০ বছর পর্যন্ত কাজ করার কথা আবার উল্লেখ করায় বঞ্চনার ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্যে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)-র সহ-সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘কেন্দ্র পুনর্নিয়োগ চায়। অথচ রাজ্য সরকার আমাদের এই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা চাই, ইউজিসি যে-বয়স ধার্য করেছে, রাজ্যও সেটা মেনে চলুক।’’ সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নয়া বেতনক্রমের দাবি জানান তিনি। ওয়েবকুটা-র সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ বলেন, ‘‘কেন্দ্র আইন চালু করছে না, এই বাহানায় সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বলবৎ করছিল না রাজ্য। এ বার তো নিয়ম হয়েছে। নতুন বেতনহার চালু হোক। আর পুনর্নিয়োগের দাবি তো দীর্ঘদিনের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy