আসরে উত্তরপ্রদেশ। আশার আলো দেখছে পশ্চিমবঙ্গ।
কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও আইএএস অফিসারদের ছাড়তে না চাওয়া অল্পবিস্তর সব রাজ্যেরই সমস্যা। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। দিল্লি ঘুরে আসার ইচ্ছা থাকলেও রাজ্যের মতের বিরুদ্ধে সরব হতে পারেন না আইএএস অফিসারদের অনেকেই। অথচ দিল্লিতে কাজ না করলে ভবিষ্যতে পদোন্নতি আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বার কেন্দ্রের ডিওপিটি-কে (ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং) চিঠি দিয়ে আইএএস অফিসারদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার আর্জি জানাল উত্তরপ্রদেশের আইএএস সংগঠন। সব থেকে বড় রাজ্যের প্রভাবশালী আইএএস সংগঠনের এই আর্জি কেন্দ্র মেনে নিলে সুবিধা হবে দেশের সব আইএএসের। তাই সেই উদ্যোগকে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছেন এ রাজ্যের আইএএস-দের বড় অংশ।
রীতি অনুযায়ী, ১৬ বছর কাজ করার পরে একজন আইএএস অফিসার কেন্দ্রীয় সরকারে যুগ্মসচিব পদের জন্য বিবেচিত হন। ডেপুটেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই পদে কয়েক বছর কাজ করে নিজের রাজ্যে ফিরে আসেন তিনি। ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের জন্য প্রথমে অতিরিক্ত সচিব এবং শেষে সচিব পদের জন্য সংশ্লিষ্ট আইএএস অফিসারের নাম বিবেচনায় আসে। কিন্তু যুগ্মসচিব ‘এমপ্যানেলড’ হওয়ার পরেও ডেপুটেশনে না যেতে পারলে ইচ্ছুক কোনও অফিসারের সামনে পদোন্নতির বাকি দু’টি সুযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তখন রাজ্য তাঁর হয়ে লড়াই করে না। এই রীতিরই পরিবর্তন চাইছে উত্তরপ্রদেশ আইএএস সংগঠন। এক অফিসারের কথায়, ‘‘অফিসার না ছাড়লে সেটা রাজ্যের সঙ্গে বুঝে নিক কেন্দ্র। সেখানে আমাদের কেন অরাজি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়!’’
ডিওপিটি-র কাছে আইএএস সংগঠনের দাবি, ‘এমপ্যানেলড’ হওয়া অফিসারকে অনলাইনে নিজের ইচ্ছার কথা ডিওপিটি-কে জানানোর সুযোগ দেওয়া হোক। সেই আবেদনের পরেও রাজ্য তাঁকে না ছাড়লে তা সেই অফিসারের দোষ হিসাবে বিবেচিত হবে না। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে পরবর্তী পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হতে হবে না তাঁকে। এক অফিসারের কথায়, ‘‘আমরা রাজ্যের জন্যই কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু এই ধরনের পদোন্নতি কর্মজীবনকে সমৃদ্ধ করে। পাশাপাশি, অর্জিত অভিজ্ঞতা রাজ্যেরও কাজে লাগে। পেশাদার হিসাবে বিনা দোষে এক জায়গায় আটকে যাওয়াটা বেদনাদায়ক।’’ অন্য এক আইএএস অফিসার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব ক্যাডার নেই। রাজ্যগুলির আইএএস-দের নিয়েই কাজ করতে হয় কেন্দ্রকে। ‘এমপ্যানেলড’ অফিসারকে রাজ্য ছাড়লে কেন্দ্রের যেমন সুবিধা হয়, তেমনই কর্মজীবনে অগ্রগতি মসৃণ হয় সেই অফিসারের। তবে সমস্যা হল, রাজ্যে ৩৭৮ জন আইএএস অফিসার থাকার কথা। রয়েছেন ২৭৭ জন। কার্যক্ষেত্রে এই ঘাটতি অনেকটাই বড়। তাই ইচ্ছা থাকলেও হয়ত ঘাটতির কারণেই সবসময় অফিসারকে ছাড়া রাজ্যের পক্ষে সম্ভব হয় না। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy