পুর নিগম ও পুরসভাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনও নিয়ম-কানুন মানছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া পুরবোর্ডের উপরে প্রশাসকমণ্ডলী বসানো, নির্বাচিত বোর্ডের চেয়ে বেশি ক্ষমতা আমলাদের হাতে তুলে দেওয়া— এ সবই সংবিধানের ৭৪তম সংশোধনীর মর্মার্থকে লঙ্ঘন করছে বলে বর্তমান মন্ত্রীকে জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
রাজ্যের ১৭-১৮টি পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরে নির্বাচন না করে প্রশাসক বসিয়ে চালানো হচ্ছে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন সেরে ফেলা বাধ্যতামূলক। রাজনৈতিক অস্থিরতা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রশাসক বসিয়ে তার পরে নির্বাচনেই যেতে হয়। এর মধ্যে হাওড়া ও চন্দননগর পুরনিগমে প্রশাসকমণ্ডলী হিসেবে যে কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শাসক দলের রাজনৈতিক নেতারাও আছেন। চন্দননগরের দৃষ্টান্ত দিয়ে অশোকবাবু লিখেছেন, ওই বোর্ডের মেয়াদ ফুরোয়নি। সেখানে বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড আর গড়া হয়নি। অথচ নিয়মানুযায়ী, এ সব ক্ষেত্রে পুরবোর্ডকে ‘অসমর্থ’ বলে ঘোষণা করতে হয়। কলকাতার মতো অন্য পুরসভাতেও কাউন্সিলর নন, এমন কাউকে মেয়র পদে বসানোর সংস্থান আনার চেষ্টা হচ্ছে, এই কথা বলে শিলিগুড়ির বিধায়ক পুরমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন এমন উদ্যোগ থেকে বিরত থাকার।
শিলিগুড়ির বকেয়া আদায়ের জন্য গত সপ্তাহে ধর্নায় বসেছিলেন অশোকবাবু। পুরসভাগুলির আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতি মেনে চলার জন্যও মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন তিনি। চেষ্টা করেও পুরমন্ত্রীর বক্তব্য অবশ্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy