Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

চার দিন পার, ‘গণ’ধর্ষণে পদক্ষেপ নয় কমিশনের! 

ঘটনার চার দিন কেটেছে। কিন্তু এখনও ধূপগুড়ির ‘গণ’ধর্ষণ কাণ্ডে পদক্ষেপই করল না রাজ্য মহিলা কমিশন। কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, দুর্গাপুজোর কারণে কমিশনের অফিস ছুটি। আগামী শুক্রবার তা খুলবে। তারপরেই তারা ব্যবস্থা নেবে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪৯
Share: Save:

ঘটনার চার দিন কেটেছে। কিন্তু এখনও ধূপগুড়ির ‘গণ’ধর্ষণ কাণ্ডে পদক্ষেপই করল না রাজ্য মহিলা কমিশন। কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, দুর্গাপুজোর কারণে কমিশনের অফিস ছুটি। আগামী শুক্রবার তা খুলবে। তারপরেই তারা ব্যবস্থা নেবে।

কমিশনের এহেন আচরণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ, এমন মামলায় কমিশন কী করে ছুটির দোহাই দিয়ে কাজ পিছিয়ে রাখে! অফিস বন্ধ থাকলেও চেয়ারপার্স সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে মৌখিকভাবে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারতেন। পরে অফিস খোলার পরে চিঠি পাঠালে হত। কারণ, এই ধরনের মামলায় অতীতে কমিশন এ ভাবে পদক্ষেপ করার নজির রয়েছে বলে কমিশনের একটি সূত্রের দাবি। আগে কমিশন এমনভাবেই কাজ করত, তেমনই দাবি প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘ছুটি থাকলেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ মামলা বা অভিযোগ উঠলে মৌখিকভাবে পুলিশ-প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হত।’’ প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের মতে, এই ধরনের লম্বা ছুটি শুরুর আগে প্রায় সব জেলার পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রাখা হত। পুজোয় কোনও ধর্ষণ বা গার্হস্থ্য হিংসার খবর এলে তারা যেন মৌখিকভাবে অনুরোধ বা নির্দেশও একটু বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করে দেন। পরে অফিস খুললে লিখিত চিঠি পাঠিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।

শুধুমাত্র আগের কমিটিই নয়, তার আগেও এ ভাবেই অন্যরা কাজ করতেন বলে কমিশনের একটি সূত্রের দাবি। আগে কী হত, তা নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন বর্তমান চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এরকম মামলায় আমরা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু ছুটির জন্য কমিশনের অফিস না খুললে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dhupguri Gang Rape Women Commission Inactive
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE