মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পরে বিধানসভায় আব্দুল মান্নান এবং মনোজ চক্রবর্তী।
তাঁর বিরোধিতা পরে করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সোমবারই বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেসকে আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান অভিযোগ জানালেন, কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ‘মিথ্যা মামলা’য় জড়িয়ে অনর্থক হয়রান করা হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, এমন চলতে থাকলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই জোরালো হবে কী করে?
মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদ দখল নেওয়ার পরে সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার-সহ অনেককে নানা অভিযোগে ‘ফাঁসানো’ হয়েছিল বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। শিলাদিত্যবাবু ১৭ মাস জেল খেটে বেরোনোর পরে আবার এখন তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই ঘটনার উল্লেখ করেই মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছেন মান্নান। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও সে সময়ে তিনি নবান্নে না থাকায় সময় পাওয়া যায়নি। কংগ্রেসের সচেতক এবং বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে পাশে নিয়ে এ দিন মান্নান বলেন, ‘‘মাদক চালান-সহ নানা মিথ্যা মামলায় কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে লড়াই করতে হবে। কিন্তু কংগ্রেসের মতো দলকে যদি মিথ্যা মামলা দিয়ে বারবার দুর্বল করা হয়, তার ফায়দা তো বিজেপি পাচ্ছে! সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী যদি আন্তরিক হন, তা হলে অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করতে হবে।’’ মুর্শিদাবাদে পুলিশ কেন বারবার কংগ্রেসকে নিশানা করছে, প্রশ্ন তুলেছেন মনোজবাবু। পাশাপাশিই বিরোধী দলনেতা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে অন্য একটি চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন, রাজ্যের স্কুলগুলিতে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করার বন্দোবস্ত হোক। বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময়ে সোমবারই ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিরোধী দলনেতা মান্নান।
আরও পড়ুন: হাতির করিডর থেকে কাঁটাতার সরানোর দাবি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy