এ রাজ্য থেকে যতগুলি গাড়ি সিকিমে ঢোকার অনুমতি পাবে, সিকিমের ঠিক ততগুলি গাড়িই ছাড়পত্র পাবে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার। দু’রাজ্যের বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপড়েনের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
তাদের অভিযোগ, এত দিন ধরে দু’রাজ্যের মধ্যে এ বিষয়ে যে চুক্তি ছিল, তা মানছিল না সিকিম। পারমিট উপেক্ষা করে তাদের গাড়ি শিলিগুড়ি, ডুয়ার্স, এমনকী কখনও কখনও কলকাতাতেও চলে যাচ্ছিল। এ সবের উপরে রাশ টানতেই এই সিদ্ধান্ত।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘এত দিন দেখা যেত, আমাদের নিগমের একটি বাসকে যদি সিকিমে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়, ওদের দিক থেকে এ রাজ্যে ঢোকে সত্তরেরও বেশি বাস। এখন থেকে তেমনটা আর হবে না। ওরা আমাদের যতগুলি গাড়িকে পারমিট দেবে, আমরাও ওদের ততগুলি গাড়িকেই রাজ্যে ঢোকার ছাড়পত্র দেব। পারমিট লঙ্ঘন করে চলাচল রুখতেও কড়া নজরদারি চলছে।’’
বছর দেড়েক আগে গোটা বিষয়টি নিয়ে সিকিমকে চিঠি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। পরিবহণ দফতরের দাবি, তার কোনও উত্তর আসেনি। তার পরেই কড়া অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত। প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি দার্জিলিং নিয়েও সিকিমের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হয়েছে। তবে পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, রাজ্যের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি অরাজনৈতিক। তাঁর কথায়, ‘‘গাড়ির অবৈধ চলাচলে রাশ টানা হয়েছে মাত্র।’’
এ বিষয়ে সিকিমের প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে সিকিমের শাসক দলের এক নেতার কথায়, ‘‘বৈধ কাগজ থাকলে সিকিমে কোনও গাড়ি চালককে যেন হেনস্থা করা না হয়। চুক্তি ভঙ্গ করলে কেন্দ্রকে তা জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy