টানা আট ঘণ্টা হংকং বিমান বন্দরে হলদিয়ার এক ছাত্রীকে আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। সৃজা দাস নামে ওই ছাত্রীর মোবাইল, টাকা ও পাসপোর্টও কেড়ে রেখে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি আট ঘণ্টা তাঁকে জলটুকুও খেতে দেওয়া হয়নি, কারও সঙ্গে ফোনে কথা পর্যন্ত বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি গত ১১ অগস্টের। পরে সৃজা ফোনে হলদিয়ায় বাড়িতে সব জানান। তার পরে সৃজার বাবা হলদিয়া বন্দরের কর্মী গোপালচন্দ্র দাস পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রীকে সব রকম প্রশাসনিক সহযোগিতা করা হবে।’’
সিঙ্গাপুরের ফ্যাশন ডিজাইনের কোর্স করছেন সৃজা। পড়াশোনার সূত্রেই সাত দিনের জন্য হংকং যাওয়ার ভিসা-সহ হোটেল বুক করেন তিনি। তবে তাঁর ভিসায় জন্মসাল ভুল লেখা ছিল। ১৯৯৭-এর বদলে লেখা ছিল ১৯৭৭। তাতেই বাধে বিপত্তি। সৃজা জানান, হলদিয়া থেকে এক এজেন্টকে দিয়ে তিনি ই-ভিসা করেছিলেন। সেখানেই সম্ভবত তথ্য-বিভ্রাট হয়। তবে বৈধ পাসপোর্ট, আধার কার্ড, কলেজের নথিপত্র দেখানোর পরেও তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। হংকং বিমানবন্দরে আট ঘণ্টা আটকে রাখার পর সৃজা দেশে ফিরতে চাইলে তাঁকে ফিরতে দেওয়া হয়নি। ফের সিঙ্গাপুরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সব জানিয়ে হংকংয়ে ভারতীয় দূতাবাসে চিঠি দিয়েছেন সৃজা।
রবিবার ফোনে সৃজা বলেন, ‘‘মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। ওরা বারবার বলছিল জেলে পুরে দেবে। ম্যারাথন জেরা চলে। ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।’’ সৃজার বাবা গোপালবাবুরও বক্তব্য, ‘‘মেয়ে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ৩ বছরের জন্য সিঙ্গাপুরে পড়তে গিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় আমরা শঙ্কিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy