Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পড়ুয়াদের

ডাকযোগে নবান্নে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তাঁদের অভিযোগ, গত ১৫ তারিখ দুপুরে কলেজ চত্বরে নিরাপত্তারক্ষী, সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ মিলে তাঁদের একাধিক সহপাঠীকে বেধড়ক মারধর করে।

গনি খান চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।—ফাইল চিত্র।

গনি খান চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩২
Share: Save:

সমস্যা মেটাতে এর আগেও দু’বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মালদহের গনি খান চৌধুরী নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (জিকেসিআইইটি) পড়ুয়ারা। এবার মালদহ থানার বিরুদ্ধে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন তাঁরা।

ডাকযোগে নবান্নে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তাঁদের অভিযোগ, গত ১৫ তারিখ দুপুরে কলেজ চত্বরে নিরাপত্তারক্ষী, সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ মিলে তাঁদের একাধিক সহপাঠীকে বেধড়ক মারধর করে। তিনজনের হাত ভাঙে, ১৫ জন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। কিন্তু সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরদিন মালদহ থানায় এফআইআর করতে গেলে তা নেওয়া হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেও কোনও ফল হয়নি বলে তাঁদের দাবি। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে পড়ুয়াদের বক্তব্য। সূত্রের খবর, কলেজের এই বিষয়টি নিয়ে আজ, শুক্রবার পড়ুয়া ও অভিভাবক, কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে পুলিশ।

জিকেসিআইইটিতে সিভিল ও কম্পিউটার সায়েন্স কোর্সের অনুমোদনের প্রশ্নে কলেজের পড়ুয়ারা মালদহ ও কলকাতা একযোগে প্রায় দু’মাস আন্দোলন করেছিলেন। সেই আন্দোলন চলাকালীন কলেজের সেই সমস্যা মেটাতে পরপর দু’বার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে হস্তক্ষেপের দাবি করেছিলেন পড়ুয়ারা। তবে তাঁদের দাবি, ওই দু’টি চিঠির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। যদিও পরে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে গেজেট নোটিফেকেশনে বেশ কিছু সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয় এবং অক্টোবর মাসে আন্দোলন তুলে নেন পড়ুয়ারা।

কিন্তু গত ১৫ তারিখ কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা কোর্সের এন্ডটার্মের শেষ পরীক্ষার আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, পরীক্ষা শুরুর আগে বেলা ১১টা নাগাদ বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী গিয়েছিল কলেজের বি ব্লকে সহকারি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করতে। পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশিত হবে ও গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী বি-টেকে ভর্তির নোটিস কলেজ কর্তৃপক্ষ কবে দেবে সেটাই রেজিস্ট্রারের কাছে জিজ্ঞাস্য ছিল বলে পড়ুয়াদের দাবি। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, সহকারী রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে বি ব্লকে ঢোকার চেষ্টা মাত্রই নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন ও মারধর শুরু করে। প্রতিবাদ করলে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররাও বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE