সৌরদীপ সেনগুপ্ত
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং প্রেসিডেন্সি ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সহ-সম্পাদক সৌরদীপ সেনগুপ্তের গ্রেফতারির প্রতিবাদে প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা সোমবার পথে নামলেন। শিলচরের একটি কলেজের শিক্ষক সৌরদীপের মুক্তির দাবিতে প্রেসিডেন্সি ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে এ দিন মিছিল এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়। ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে গিয়ে কিছু ক্ষণের জন্য কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। একই সঙ্গে ওই শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে সই সংগ্রহ শুরু হয়েছে অনলাইনে।
প্রেসিডেন্সির বর্তমান ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক দীপ্রজিৎ দেবনাথ জানান, ছাত্রছাত্রীরা যখন সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরোধিতা করছে, তখনই তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। সৌরদীপের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাঁরা প্রাক্তনীদের চিঠি দিয়েছেন বলে জানান দীপ্রজিৎ। শিক্ষা দফতরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি। সৌরদীপকে মুক্তি না-দিলে তারা আরও বড় আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ।
শুধু রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ নয়, সৌরদীপের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে সাইবার মাধ্যমেও। তাঁর মুক্তি চেয়ে সই সংগ্রহ চলছে অনলাইনে। সৌরদীপের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন শিলচরের বিশিষ্টজনদের একটি বড়া অংশ। সভা করে তাঁরা মতপ্রকাশের অধিকারের উপরে হস্তক্ষেপের সমালোচনা করছেন। কিছু যুবক যে-ভাবে সৌরদীপের বাড়িতে চড়াও হয়েছে, তারও নিন্দা করেছেন তাঁরা।
দিল্লির প্রাণঘাতী হিংসার প্রেক্ষিতে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দোষারোপ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিরুদ্ধে মন্তব্যের অভিযোগে গুরুচরণ কলেজের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক সৌরদীপকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ফেসবুকেই ক্ষমা চান তিনি। ওই শিক্ষকের জামিনের আবেদন এ দিন আদালতে ওঠেনি। আজ, মঙ্গলবার পুলিশ এই মামলার কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করবে। তার পরে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা নিজেদের মতামত জানাবেন।
একই ধরনের পৃথক মামলায় ধৃত কংগ্রেসকর্মী পার্থসারথি রায়ের জামিন এ দিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে রায়ের প্রতিলিপি পৌঁছতে দেরি হওয়ায় জেল থেকে বেরোতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ছাড়া হবে বলে শিলচর সেন্ট্রাল জেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy