ছবি: সংগৃহীত।
শুধু কলেজবিহীন বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করাতে চায় শিক্ষা দফতর। তবে তার আগে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে রিপোর্ট নেবে তারা। সেই রিপোর্ট আসার পরেই নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে। শুক্রবার নবান্নে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও এ দিন যাদবপুরে বলেন, ‘‘আড়াই বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকাটা কাম্য নয়। শুনেছি, এ নিয়ে শিক্ষা দফতর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত সেরে ফেলা উচিত।’’ পার্থবাবু বলেন, ‘‘কলেজবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট করানোর বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। পরের ধাপে সরকার রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজেও ভোট করাবে। তবে তার আগে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’ এর কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কলেজগুলির পরীক্ষা কোন সময়ে থাকবে তা জানা দরকার। কোথায় কখন কলেজে ভোট করানোর উপযুক্ত সময়, সেটা জানাও জরুরি।’’ জানা গিয়েছে, কলেজকেন্দ্রিক গোলমাল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির ক্ষমতা বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট নেবে শিক্ষা দফতর। তার পরই ঠিক হবে, সংশ্লিষ্ট কলেজে ভোট কখন হবে।
ছাত্রভোটের প্রস্তুতির পাশাপাশি ছাত্রদের মধ্যে থেকে তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নেতা-নেত্রী তুলে আনার কাজও শুরু হয়েছে বলে পার্থবাবু এ দিন জানান। শুক্রবার নবান্নে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পরে তিনি জানান, আগামী ১৪ অথবা ১৫ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোরে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কর্মশালা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। পার্থবাবু বলেন, ‘‘ছাত্র-যুবদের মধ্যে থেকে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনতে হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাতে ব্যাপকহারে জনসংযোগ যেমন করা হচ্ছে, তেমন দুর্বল জায়গাগুলি চিহ্নিত করাও হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy