Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
পুড়ে ছাই পড়াশোনা

পড়াশোনা হয় না, তাতেই ক্ষোভ ছিল

বিষয়টি জেলা স্কুল শিক্ষা পরিদর্শকের দফতর পর্যন্ত গড়ায়। সেখান থেকে ওই স্কুলে উর্দু বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি স্থগিত রাখা হয় বলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দাবি। এরপরেও ফের ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে স্কুল কর্তৃপক্ষ তোড়জোড় শুরু করতেই যেন ছাত্র আন্দোলনের আগুনে ঘি পড়ে। ক্ষুব্ধ ছাত্র ছাত্রীরা ওই স্কুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

রণক্ষেত্র: দাড়িভিট স্কুলে ভাঙচুরের দৃশ্য জ্বলজ্বল করছে এখনও। নিজস্ব চিত্র

রণক্ষেত্র: দাড়িভিট স্কুলে ভাঙচুরের দৃশ্য জ্বলজ্বল করছে এখনও। নিজস্ব চিত্র

স্নেহাশিস সরকার
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৫
Share: Save:

তিন মাস ধরে স্কুলে নিয়মিত পড়াশোনা হয় না। মিড ডে মিলের খাবার এতটাই নিম্নমানের হয় যে, তা মুখে তোলা যায় না বলে অভিযোগ। বেশ কিছু বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষকের দাবিতে দাড়িভিটা স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই আন্দোলন গড়ে তুলেছিল বলে তারা জানায়।

বিষয়টি জেলা স্কুল শিক্ষা পরিদর্শকের দফতর পর্যন্ত গড়ায়। সেখান থেকে ওই স্কুলে উর্দু বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি স্থগিত রাখা হয় বলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দাবি। এরপরেও ফের ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে স্কুল কর্তৃপক্ষ তোড়জোড় শুরু করতেই যেন ছাত্র আন্দোলনের আগুনে ঘি পড়ে। ক্ষুব্ধ ছাত্র ছাত্রীরা ওই স্কুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

ওই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মৌ সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ আমার চোখের সামনে গুলি চালিয়েছে। আমার গায়ে পর্যন্ত হাত দিয়েছে। পুলিশের মারে আমার পায়ে কালসিটে পড়েছে। বৃহস্পতিবার যে ভাষায় পুলিশ স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছে তা ভাষায় প্রকাশ করবার মতো নয়।’’ ওই স্কুলেরই অন্য এক ছাত্রী জানায়, রীতিমতো ছোট গাড়ি নিয়ে তাদের দিকে ধাওয়া করে পুলিশ। ভয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের গুলি এবং কাঁদানে গ্যাসের আওয়াজ আর ঝাঁঝালো গন্ধে আশেপাশের বাতাস ভারি হয়ে আসে। পুরুষ পুলিশকর্মীরা স্কুলের ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয় বলেও অভিযোগ করেছে ওই স্কুলের ছাত্রীরা।

দাড়িভিট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র স্বপন মজুমদার বলেন, ‘‘স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের লিখিত নির্দেশের পরেও কেন অন্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে এত তাড়াহুড়ো? তা জানতে চেয়েছিলাম প্রধান শিক্ষকের কাছে। তিনি আমাদের বলেন ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হবেই। তারপরই আমরা স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করি।’’

যদিও জেলা পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘পুলিশ গুলি চালায়নি। ঘটনায় এপর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Education Student Fuming
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE