মাত্র ন’দিন আগে বিধানসভা ভোটে ২১১টি আসনে জিতে বিপুল সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। জয়ের সেই আবহ থাকতে থাকতেই এ বার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল।
কেন? তমলুকের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা ভোটে এ বার নন্দীগ্রাম আসন থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। শুক্রবার শপথ গ্রহণ করে পরিবহণ দফতরের দায়িত্বও পেয়েছেন শুভেন্দু। ফলে তমলুক থেকে সাংসদ পদ তাঁকে এবার ছাড়তেই হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, ছ’মাস পর্যন্ত লোকসভা এবং বিধানসভা— দু’টি আইনসভার সদস্য থাকা যায়। অর্থাৎ, তমলুকের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য শুভেন্দুর হাতে আরও ছ’মাস সময় ছিল। কিন্তু ওই দেরি করার ঝুঁকি নিতে চায়নি তৃণমূল। কারণ, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে তমলুক, হলদিয়া এবং পাঁশকুড়া পূর্ব— এই তিনটিতে এই বিধানসভা ভোটে তৃণমূল হেরে গিয়েছে। তমলুক লোকসভার উপ নির্বাচনের জন্য আরও সময় নিলে বাকি চারটি আসনে জনসমর্থন কোথায় দাঁড়াবে, তা নিয়েও দলীয় নেতৃত্বের উদ্বেগ রয়েছে। সে জন্যই এ দিন তড়িঘড়ি তমলুকের সাংসদ পদ থেকে শনিবার ইস্তফা দেন শুভেন্দু।
শুক্রবার মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর এ দিন দিল্লি গিয়ে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর কাছে ইস্তফা পত্র পেশ করে রাতেই কলকাতায় ফিরে আসেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এ বার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন শুভেন্দুরই ভাই তথা দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার তিন বারের বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী। দিব্যেন্দু তমলুকের সাংসদ হলে আবার কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রেও উপ নির্বাচন অনিবার্য হবে। তবে দেখার বিষয় যে, বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিব্যেন্দু উপ নির্বাচনে লড়বেন, নাকি তমলুকে উপ নির্বাচনে জিতে তবেই বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy