সুব্রত বক্সিকে কালো পতাকা দেখিযে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র
কোচবিহারে লোকসভা ভোটে হারের পরে সেখানে দলীয় কর্মসূচিতে বাধা পেলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে বিজেপি কর্মীরা যে শীতলখুচিতে তাঁর পথ আটকান ভোটের হিসেবে সেখানে এগিয়ে তৃণমূলই। সোমবার সকালে এই ঘটনার অস্বস্তি কাটার আগেই বিকেলে আবার মাথাভাঙায় দলীয় বৈঠকে গিয়ে দলেরই দুই গোষ্ঠীর ক্ষোভের মধ্যে পড়েন তিনি।
কোচবিহারের দুই শহর শীতলখুচি এবং সিতাই থেকে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ‘লিড’ পেয়েছিল। শীতলখুচিতে এক হাজার এবং সিতাই থেকে ৩৫ হাজার ভোটে ‘লিড’ নেন তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী। অথচ ভোটের ফল প্রকাশের পরেই এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি বদলে যায়। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া তখন থেকেই এলাকা ছাড়া। এর আগে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সিতাইয়ে ঢুকতে পারেনি। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির কনভয় এ দিন আটকানো হয় শীতলখুচির জটামারি এলাকায়। পরে মাথাভাঙায় দলীয় বৈঠকে গিয়ে দলেরই দুই অংশের বিরোধের মধ্যে পড়েন বক্সী। তাঁর সামনেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান দলেরই অন্য অংশ।
শীতলখুচিতে পরিস্থিতি যে অন্য রকম হতে পারে, তার আঁচ আগে থেকেই ছিল। বক্সীর ‘জনসংযোগ যাত্রা’ নিয়ে আগে প্রচারও করেনি দল। কোচবিহার শহর থেকে এ দিন সকালে বক্সী রওনা হন নির্দিষ্ট সময়ের আধঘণ্টা আগে। ততক্ষণে যাত্রাপথ পুলিশে ছয়লাপ। তা উপেক্ষা করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পথ আটকান কয়েকশো বিজেপি সমর্থক। প্রায় এক ঘন্টা গাড়িতে অপেক্ষা করে শীতলখুচিতে না নেমে ফিরে আসেন বক্সী। পরে তিনি বলেন, “পুলিশ-প্রশাসন নিয়ে জোর করে কোথাও যাওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এই অবরোধ যে রাজনৈতিক দল করছে, কী ঘটবে না ঘটবে, সে দায়িত্ব তারাও নিতে পারছে না।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলগত ভাবে আমরা বাহুবলী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আর প্রশাসনের কী ভূমিকা ছিল, তা প্রশাসনিক স্তরে দেখা হবে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এখন তৃণমূল দূর্বল হওয়ায় তাঁরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy