ধর্মতলায় আজ সকালে। নিজস্ব চিত্র।
ফাল্গুন মাসে জোড়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড কলকাতা। গভীর রাতে শিলাবৃষ্টির জেরে রাজপথ ঢেকে গেল সাদা চাদরে। শুধু কলকাতাই নয়, রবিবার রাত থেকে গোটা রাজ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে পূবালী হাওয়ার সংঘাতে এই দুর্যোগ চলবে আরও তিন দিন। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও এর প্রভাব পড়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে।
রাতভর বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার জেরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গাছ ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও জলও জমে গিয়েছে। সকাল থেকেই কলকাতা পুরসভার কর্মীরা রাস্তা থেকে গাছ সরাতে নেমে পড়েছেন।
রাতভর দুর্যোগের ফলে সপ্তাহের প্রথম দিন গাড়ি গতিও শ্লথ হয়ে গিয়েছে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, সোমবার থেকে বুধবার রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টি হবে। রবিবার সকালে ঝাড়গ্রাম, বীরভূম-সহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গভীর রাত থেকে কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, নদিয়াতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়।
প্রকৃতি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
আরও পড়ুন: পৃথিবীর নীল সমুদ্র এ বার হয়ে উঠবে সবুজ!
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাত ৩টে ৫৫ মিনিট নাগাদ হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৪৪ কিলোমিটার। এর পর ভোরের দিকে ৪টে ২৫ মিনিট নাগাদ আরেকটি ঝোড়ো হাওয়া আছড়ে পড়ে শহরের বুকে। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৫৬ কিমি।
আরও পড়ুন: বসন্ত কই, খুঁজে বেড়াচ্ছে শহর
ফাল্গুন মাসে পর পর দু’টি ঝড়ের তাণ্ডবে এবং সেই সঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির জেরে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে কলকাতা। একই অবস্থা সল্টলেকেও। উপড়ে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। গাছের ডাল ভেঙে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সামনে ভোট, নজরে মধ্যবিত্ত, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের জিএসটি এক ধাক্কায় ৮ থেকে ১ শতাংশ
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আকাশ মেঘলা থাকবে। ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও প্রবল। বৃষ্টির জেরে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। সোমবার পাঁচ ডিগ্রি কমে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy