Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে আমেরিকা যাওয়ার অনুমতি সুদীপকে

শুরু টানাপড়েন, নাটক। এবং জমজমাট নাট্যপর্বের পরে অবশেষে বুধবার রাতে আমেরিকাগামী উড়ান ধরার কথা তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৬
Share: Save:

পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। অথচ সংসদীয় প্রতিনিধি হিসেবে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে যাওয়ার ছাড়পত্র হস্তগত। হাতে সময় মাত্র কয়েক দিন।

শুরু টানাপড়েন, নাটক। এবং জমজমাট নাট্যপর্বের পরে অবশেষে বুধবার রাতে আমেরিকাগামী উড়ান ধরার কথা তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আরও পড়ুন: উপসর্গ আলাদা, আসলে ডেঙ্গিই

নাটকের শুরু দিন দশেক আগে। প্রত্যেক বছরের মতো এ বারও তিনটি পর্বে সংসদ থেকে প্রতিনিধিরা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবশনে যোগ দিতে। বিভিন্ন দল থেকে সাংসদদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ডাকা হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে এ বার বাদ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলকে। এ দিকে ২৬ অক্টোবর সাংসদদের শেষ দফার মার্কিন সফরের কথা। টের পেয়ে সংসদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, তূণমূলকে কেন ডাকা হল না, ডেরেক ও ব্রায়েনের এই প্রশ্নের উত্তরে আমতা আমতা করে অনন্ত কুমার জানান, বিষয়টি দেখছে বিদেশ মন্ত্রক। আর বিদেশ মন্ত্রক বল ঘুরিয়ে দিচ্ছে সংসদের দিকে!

কিছু টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত নাম চাওয়া হয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, পাঠাতে হবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এটা তৃণমূল নেতৃত্বের অজানা ছিল না যে, রোজভ্যালি কাণ্ডের জেরে সুদীপবাবুর পাসপোর্ট জমা রয়েছে সিবিআই দফতরে। কিন্তু অন্য কোনও নামেও রাজি নন তৃণমূলনেত্রী! ফলে ওডিশার হাইকোর্টে (ওই রাজ্যেই জেলবন্দি ছিলেন সুদীপবাবু) বিদেশ মন্ত্রকের চিঠি দেখিয়ে আবেদন করা হয় সুদীপবাবুর পাসপোর্ট ফেরতের। পরিস্থিতি বিচার করে সুদীপবাবুকে পাসপোর্ট ফেরৎ দেওয়ার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দেয় আদালত।

ভোগান্তির এখানেই শেষ নয়। আদালত এটাও জানিয়ে দেয় যে, পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ সিবিআই-কে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সুদীপবাবু আদৌ দেশ ছাড়তে পারবেন কি না, সেটা স্থির করা ওডিশা হাইকোর্টের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এ বিষয়ে শেষ কথা বলবে সিবিআই।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডেরেক ফের দৌড়ান সিবিআই দফতরে। কিন্তু সেখানেও বাধা। সিবিআই-এর বক্তব্য, তদন্ত এখনও চলছে। তদন্তের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি কীভাবে দেওয়া যায়? তিনি তো বেপাত্তা হতেই পারেন।

শুরু হয় অনুরোধ, তর্কবিতর্ক, চাপান-উতোর। গত শনিবার শেষ পর্যন্ত অনুমতি পান সুদীপবাবু। সিবিআই তাঁকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাইরে থাকার অনমুতি দিয়েছে। এর পরেই তড়িঘড়ি সুদীপবাবুর পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয় মার্কিন দূতাবাসে, ভিসার জন্য। আগামিকাল যা তিনি পেয়ে যাবেন বলে আশা করছে তৃণমূল।

পর্যটনপ্রিয় এই প্রবীন সাংসদ দীর্ঘ দিন অসুস্থতা এবং জেলবন্দি থাকার কারণে দেশের বাইরে পা দিতে পারেননি। দিল্লিতেও পা দিয়েছেন দীর্ঘ বিরতির পর। অনেক বিঘ্ন কাটিয়ে ফের তিনি বিদেশের পথে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE