বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দিল না সুপ্রিম কোর্ট।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘রথযাত্রায় যে বাধা দেবে, সে রথের চাকার তলায় পিষে যাবে’।
দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপির কাউকে গ্রেফতার করলে পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটানো হবে। বিজেপির রথযাত্রা আটকাতে এই সব ‘উস্কানিমূলক মন্তব্য’কেই আজ অস্ত্র করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করলেন, এই যখন পরিস্থিতি, তখন রথযাত্রা হলে আইন-শৃঙ্খলার গুরুতর সমস্যা হতে পারে। সাম্প্রদায়িক শান্তিও বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁরা দাবি করেন, রাজ্যের ভিতর ও বাইরে থেকে হাঙ্গামাকারী ও উস্কানি দেওয়ার লোকদের সক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। তাদের হাতে অস্ত্র, গোলাগুলি, বোমা রয়েছে। সর্বোপরি, রথযাত্রার সঙ্গে বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনের ছবি জড়িয়ে আছে।
লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রা ঘিরে অশান্তি ও প্রাণহানির উদাহরণও আজ সুপ্রিম কোর্টে তুলে ধরেছে রাজ্য। ১৯৯০-তে মাত্র তিন দিনের রথযাত্রায় রাজ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তা-ও সেই রথ গিয়েছিল মাত্র একটি জেলা দিয়ে। এ বার যারা রথযাত্রার উদ্যোক্তা, গত বছরও তাদের মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজ্যে হিংসা, খুনোখুনি, ভাঙচুর হয়েছে। আসানসোল, বসিরহাট, বারাকপুর এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
রাজ্যের যুক্তি, এই সাম্প্রদায়িক অশান্তির উদাহরণ তো রয়েছেই, তাতে আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল, হিন্দু বাহিনীর লোকেরা রথযাত্রায় যোগ দিতে পারে। যে সব এলাকা দিয়ে বিজেপি চারটি রথ নিয়ে যেতে চাইছে, তার অধিকাংশই সাম্প্রদায়িক ভাবে স্পর্শকাতর। তা ছাড়া, এক একটি রথের সঙ্গে দেড় থেকে দু’হাজার মানুষ চলবেন। এক কিলোমিটারের মিছিল। শহরে ঢুকলে তাতে গাড়ি জুড়বে। মানুষের হেনস্থা চরমে উঠবে। মমতার সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেও রাজ্যের দাবি, ২০১৭ সালেই ৪,৩৪৮টি মিটিং-মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ১,৫৪৮টি ছিল বিজেপির। ২০১৮-তেও ৭০৫৬টি মিটিং-মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি ২,৮৫৯টি-র অনুমতি পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy