সুপ্রিম কোর্ট।
বারাসত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল পর্যন্ত যশোর রোডে গাছ কাটা নিয়ে মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট। পরিবেশবিদদের নিয়ে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আজ জানিয়েছে, বহু বছরের পুরনো গাছগুলিকে বাঁচিয়ে কী ভাবে রাস্তা সম্প্রসারণ ও পাঁচটি উড়ালপুল করা যায়, কমিটি সে ব্যাপারে বিকল্প পথ খুঁজবে। চার সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। গাছ কাটা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘যখন ঐতিহ্যশালী গাছগুলি কাটব, তখন ভাবতে হবে ওই গাছগুলি এত বছর ধরে যে পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদ করল, তার মূল্য কত।’’
বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার রাস্তায় যানবাহন চলাচলে গতি আনতে রেললাইনের উপরে পাঁচটি উড়ালপুল ও রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ৩৫০-র বেশি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বছর কয়েক আগে গাছ কাটাও শুরু হয়। কিন্তু পরিবেশপ্রেমীরা আদালতের দ্বারস্থ হলে গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পরিবেশবিদ সুনিতা নারাইন-সহ চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে, ‘‘উন্নয়ন নাকি পরিবেশ, এ মামলায় সেই দ্বন্দ্ব রয়েছে।’’
যশোর রোড সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কাজে যুক্ত রাজ্যের পূর্ত দফতরও। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আজ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘যখন একটি হেরিটেজ গাছ কাটা হয়, ভাবুন গাছটি এত বছর ধরে পরিবেশে কতটা অক্সিজেনের জোগান দিয়েছে। তুলনা করুন, ওই পরিমাণ অক্সিজেন কিনতে হলে কত খরচ হত।’’ গাছ কাটার বিরোধিতা করে এপিডিআরের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতে জানান, উড়ালপুল না গড়ে ভূগর্ভস্থ পথ তৈরি করা হলে ও রাস্তা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বদলানো হলে গাছগুলিকে বাঁচানো সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে যুক্তি দেন, পথ দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তা সম্প্রসারণ জরুরি।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy