Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নিটের ফল দ্রুত ঘোষণার নির্দেশ

বিচারপতি পিসি পন্থ এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ এ দিন নির্দেশ দিয়েছে, দেশের কোনও হাইকোর্টই নিট সংক্রান্ত কোনও আবেদনের বিচার করতে পারবে না। এবং অবিলম্বে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে কাউন্সেলিং করতে হবে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০২:৫৩
Share: Save:

মেডিক্যালের সর্বভারতীয় অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-র ফল প্রকাশ নিয়ে অনিশ্চয়তা আপাতত কাটল। প্রায় ১২ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ওই পরীক্ষার ফল অবিলম্বে প্রকাশ করার জন্য সোমবার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে দ্রুত কাউন্সেলিংও শুরু করতে বলেছে তারা।

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে দু’রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। গত ৭ মে যাঁরা ওই প্রবেশিকা পরীক্ষা ভাল দিয়েছেন বলে আশাবাদী ছিলেন, তাঁরা স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন। কিন্তু যাঁরা প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে নিট বাতিলের দাবি জানাচ্ছিলেন, তাঁরা এই নির্দেশে চূড়ান্ত হতাশ।

অভিন্ন পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র হবে কেন, এই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। কিছু ভাষার প্রশ্ন অন্যান্য ভাষার প্রশ্নের তুলনায় কঠিন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে একাধিক রাজ্যের হাইকোর্টে বেশ কিছু মামলাও দায়ের হয়েছিল। দু’টি মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। একটি মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ নিটের ফল ঘোষণার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। তার পরেই ফল প্রকাশের আবেদন জানিয়ে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে।

বিচারপতি পিসি পন্থ এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ এ দিন নির্দেশ দিয়েছে, দেশের কোনও হাইকোর্টই নিট সংক্রান্ত কোনও আবেদনের বিচার করতে পারবে না। এবং অবিলম্বে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে কাউন্সেলিং করতে হবে।

আরও পড়ুন:ভাঙড়ে কথা চান মমতা

২৪ মে তামিলনাড়ুর কয়েক জন পরীক্ষার্থী মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। এঁরা প্রত্যেকে ইংরাজিতে নিট দিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, তামিল ভাষার প্রশ্নের তুলনায় ইংরেজি ভাষার প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই নিটের ফল প্রকাশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। তার পরে, গত ৫ এবং ৭ জুন কলকাতা হাইকোর্টে দু’টি মামলা দায়ের করেন দীপ চক্রবর্তী ও সোমা বিশ্বাস। তাঁদের অভিযোগ, বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্র ইংরেজি বা হিন্দি ভাষার তুলনায় কঠিন হয়েছে। তাঁরা নিট বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই জানায়, তারা ওই পরীক্ষার্থীদের পাশে আছে।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পরীক্ষার মূল আয়োজক সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই। এ দিন শীর্ষ আদালতের রায়ের পরে সোমা বলেন, ‘‘আমাদের কথা শোনা হলো না। আরও বড় লড়াইয়ের কথা ভাবতে হবে। দরকারে ফের সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে।’’

যাঁরা বাংলায় নিট দিয়েছিলেন, দেওয়া তাঁদের অনেকে রবিবার অভিভাবকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না-হলেও তাঁর দফতর থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা জানান। তাঁদের বক্তব্য, এই ভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করা হতে থাকলে অভিভাবকেরা আর ছেলেমেয়েদের বাংলা মাধ্যমের স্কুলে পড়াবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE