—ফাইল চিত্র।
ত্রিলোচন মাহাতো, দুলাল কুমার ও শক্তিপদ সর্দার— বিজেপির এই তিন কর্মী-খুনের ঘটনায় রাজ্যকে লিখিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য জানায়, তিনটি খুনের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে মুখবন্ধ খামেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
পুরুলিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই তিন কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। ২৫ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস দেয়। কিন্তু বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত ও বিচারপতি অশোক ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চে ভাটিয়া আজ অভিযোগ তোলেন, রাজ্য সরকার বক্তব্য জানায়নি।
বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল পাল্টা প্রশ্ন করেন, এই ভাবে মামলা হয় কী করে? তিনটি খুনের ঘটনাতেই তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার হয়েছে। চার্জশিটও হয়েছে।
বিচারপতি ললিত বলেন, ‘‘আপনাদের যুক্তি নিশ্চয়ই শোনা হবে। তার আগে লিখিত বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জমা করুন।’’ সিব্বল জানান, তদন্তের গতিপ্রকৃতি রাজ্য মুখবন্ধ খামে শুধু আদালতকেই জানাবে। সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে যুক্তি অবশ্য অন্য পক্ষকেও দেওয়া হবে। এ জন্য আদালতের কাছে আরও দু’সপ্তাহ সময়ও চেয়ে নেন সিব্বল।
গত ৩০ মে পুরুলিয়ার বলরামপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ত্রিলোচন মাহাতোর দেহ। তাঁর পিঠে আটকানো পোস্টারে লেখা ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার করার শাস্তি। দিন তিনেক পরে সেই বলরামপুরেই দুলাল কুমার নামে আরও এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২৮ জুলাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে খুন হন বিজেপি নেতা শক্তিপদ সর্দার। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরে ভাটিয়ার ক্ষোভ, রাজ্য সরকার আসলে টালবাহানা করে সময় নষ্ট করতে চাইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy