Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কৈলাসকে জেরা ক্ষোভ বহিষ্কৃতের

শিশু পাচার কাণ্ডে নেতাকে জেরা নিয়ে দলের স্পিকটি নট অবস্থান। অথচ, যার সঙ্গে এখন দলের কোনও সম্পর্কই নেই, সেই প্রাক্তন নেতা কিন্তু গোয়েন্দাদের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮ ০২:৩১
Share: Save:

শিশু পাচার কাণ্ডে নেতাকে জেরা নিয়ে দলের স্পিকটি নট অবস্থান। অথচ, যার সঙ্গে এখন দলের কোনও সম্পর্কই নেই, সেই প্রাক্তন নেতা কিন্তু গোয়েন্দাদের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ৷

ঠিক এক বছর আগে জলপাইগুড়ির শিশুপাচার কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। তার রেশ ছড়িয়েছিল দেশের রাজনীতিতেও৷ এই ঘটনায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম গ্রেফতার করা হয় চন্দনা চক্রবর্তীকে ৷ তারসঙ্গেই গ্রেফতার হয় তার সহযোগী সোনালী মণ্ডলকে৷ পরে এক এক করে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী ও চন্দনার ভাই সহ আরও পাঁচজনকে৷ জুহি গ্রেফতারের পরেই গোটা ঘটনা অন্যমাত্রা পায়। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপির মহিলা মোর্চার তৎকালীন সভানেত্রী, বর্তমান সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও দলের এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র৷ ২০১৭ সালের মে মাসে চন্দনা-জুহি সহ অভিযুক্ত সাতজনের বিরুদ্ধেই আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি৷ সেখানেও উল্লেখ রয়েছে রূপা ও কৈলাসের নামও৷

পরবর্তীতে রূপার সঙ্গে গোয়েন্দারা কলকাতায় এক দফায় কথাও বলেন৷ রবিবার সিআইডির একটি দল ইনদওরে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জেরা করেন। সূত্রের খবর জেরায় কৈলাস জানিয়েছেন, জুহিকে তিনি চেনেন না। এবং হোমের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কাউকে সাহায্যও করেননি। তবে তাঁকে জেরার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে।

শিশু পাচার কাণ্ডে নাম জড়ানোর পরই দল থেকে বহিষ্কার করা হয় জুহিকে৷ একইভাবে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জুহির বাবা বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীকে৷ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পরে এখন আর দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই রবীন্দ্রনারায়ণবাবুর৷ তবে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সিআইডি জেরা করায় বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি৷

রবীন্দ্রনারায়ণবাবুর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থে এ রাজ্যে পুলিশকে দিয়ে রাজ চালানো হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ সব জানে। তারপরও একটা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে যে আচরণ করছে, তা ঠিক হচ্ছে না৷’’ জুহি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘নির্দোষ একটি মেয়েকে ফাঁসিয়ে জেলে পুড়ে রেখেছে ওরা৷ তবে আমি চাই আইন আইনের পথেই চলুক৷’’

দলের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও বিজয়বর্গীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে রবীন্দ্রনারায়ণবাবু যখন সোচ্চার, তখন ঠিক উল্টো ছবি বিজেপির নেতাদের মধ্যে৷ জেলার আরেক প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমানে উত্তরবঙ্গের বিজেপির আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক বলেন, ‘‘সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি আমি জানি না৷ কৈলাসজির সঙ্গে আগে কথা বলব, তারপরেই যা বলার বলব৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE