Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কাজ বন্ধ দুই চটকলে, বিপাকে ৯০০০

মে দিবসের সকালে মাথায় হাত পড়ল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দু’টি চটকলের শ্রমিকদের। কাঁচামালের অভাব এবং উৎপাদন কম হওয়াকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে এ দিন কাঁকিনাড়া চটকল ও নফরচাঁদ চটকলের গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। দুই চটকলের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ন’হাজার শ্রমিক বিপাকে পড়লেন। শ্রমিকদের নালিশ, বিনা কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কর্তৃপক্ষ চটকল বন্ধ করেছেন।

সাসপেনশন অব ওয়ার্ক-এর নোটিস দেখছেন শ্রমিকেরা। শুক্রবার সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

সাসপেনশন অব ওয়ার্ক-এর নোটিস দেখছেন শ্রমিকেরা। শুক্রবার সজল চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৫ ০১:৫০
Share: Save:

মে দিবসের সকালে মাথায় হাত পড়ল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দু’টি চটকলের শ্রমিকদের। কাঁচামালের অভাব এবং উৎপাদন কম হওয়াকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে এ দিন কাঁকিনাড়া চটকল ও নফরচাঁদ চটকলের গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। দুই চটকলের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ন’হাজার শ্রমিক বিপাকে পড়লেন। শ্রমিকদের নালিশ, বিনা কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কর্তৃপক্ষ চটকল বন্ধ করেছেন। দুই চটকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহু বার চেষ্টা করে যোগাযোগ করা যায়নি। ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহ বলেন, “বহু বার শ্রমিক-মালিক দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। দু’পক্ষের দোষ আছে। কেেন্দ্রর ভ্রান্ত নীতির জন্য রাজ্যের চটকলগুলির এই দশা।”

উৎপাদন বাজারজাত করা নিয়ে চটকলগুলির বেহাল দশা এখনও কাটেনি। আর বরাতও যে সে ভাবে মিলছে না, মেনে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সংগঠন থেকে মালিক পক্ষ—সকলে। সরকারের কাছে তারা আর্জিও জানিয়েছে বারবার। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। উৎপাদন-সহ আনুষঙ্গিক ব্যয় কমাতে গঙ্গার দু’পাড়ের চটকলগুলির মধ্যে অনেকগুলিতেই তাই কাজের দিন কমিয়ে দেওয়া হয়। তার জেরে শ্রমিক অসন্তোষও মাথাচাড়া দেয়।

২০১৪ সালের জুনে ভদ্রেশ্বরের নর্থব্রুক চটকলের সিইওকে মিলের মধ্যে পাথর-রড দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কিছু শ্রমিকের নামে। তার পরেও শ্রমিক অসন্তোষে কখনও কাজ বন্ধ থাকে ভদ্রেশ্বরের ভিক্টোরিয়া চটকল, শ্যামনগর গৌরীশঙ্কর চটকল, জগদ্দলের অকল্যান্ড বা হাওড়ার হনুমান চটকলে। পরে সেই সব মিল খুললেও সঙ্কট কাটেনি।

গত বছর পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে যায় নফরচাঁদ চটকল। বিপাকে পড়ে যান প্রায় চার হাজার শ্রমিক। সে বার সপ্তাহে চার দিনের বদলে অন্তত ছ’দিন কাজের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। তার পর কখনও চার দিন, কখনও পাঁচ দিন কাজ হচ্ছিল বলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে অসন্তোষও ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE