Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

লক্ষ্য এ বার বিজেপি, মত শুভেন্দুর

সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে মালদহে কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। প্রথম স্থানে তৃণমূল। দ্বিতীয় জায়গা দখল করেছে বিজেপি। তাই এখন মালদহে বিজেপিকে পুরোপুরি পর্যুদস্ত করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে ঘোষণা করলেন  তৃণমূলের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

পথে: মালদহে সভার পথে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: তথাগত সেনশর্মা।

পথে: মালদহে সভার পথে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: তথাগত সেনশর্মা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩৬
Share: Save:

সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে মালদহে কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। প্রথম স্থানে তৃণমূল। দ্বিতীয় জায়গা দখল করেছে বিজেপি। তাই এখন মালদহে বিজেপিকে পুরোপুরি পর্যুদস্ত করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে ঘোষণা করলেন তৃণমূলের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার মালদহে দলীয় জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘মালদহ-মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস ভেঙেছি। এ বার টার্গেট বিজেপি। মালদহে বিজেপি কিছু আসনে জিতলেও একটা পঞ্চায়েতও গঠন করতে পারবে না। গণতান্ত্রিক ভাবে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি আমরা গঠন করব। জেলা পরিষদ তো রয়েছেই।’’ এমনকী, সভার শেষ পর্বে নিজেই স্লোগান ধরলেন, ‘বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও’ এবং ‘দু-হাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ।

এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত মালদহে তৃণমূলের পরই দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। ৬টি জেলা পরিষদ আসন দখলের পাশাপাশি হবিবপুর ও বামনগোলা দুটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েতও তারা একক ভাবে দখল করেছে। ত্রিশঙ্কু থাকা ৬৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশির ভাগে তারাই মূল শক্তি। সেই নিরিখেই শুভেন্দু বিজেপিকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু বলে মনে করছে রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেই।

এদিন তৃণমূলের মালদহের পর্যবেক্ষক বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘হবিবপুরে জিতেছেন তো, মনে রাখবেন ৫ জন বিজেপি সদস্য তো আমার সঙ্গেই বসে আছে। পারবেন না রাখতে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের বোর্ড যেদিন গঠন হবে সেদিন এক লক্ষ মানুষকে নিয়ে আসল বিজয় সমাবেশ হবে।’’ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর অভিমত, ‘‘দিদি জননেত্রী। তিনি আর বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নন। তিনি বিশ্ববন্দিত, ভারতবন্দিত, জনগণমনঅধিনায়িকা। নেত্রীর সংগ্রামের একটি দিন ২১ জুলাই। তিনিই বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উত্খাত করবেন।’’ রায়গঞ্জের সভার মতো এ দিন মালদহের সভাতেও শুভেন্দু বলেন, ‘‘২১ জুলাইয়ের সভায় মালদহের কংগ্রেসের প্রথম সারির জনপ্রতিনিধিরা দলে যোগ দেবেন।’’ কিন্তু তাঁরা কারা সে ব্যাখ্যা করেননি তিনি। কংগ্রেস সাংসদ মৌসম নুর অবশ্য বলেন, ‘‘এমন কোনও খবর আমাদের কাছে নেই।’’

শুভেন্দুর দাবি, ‘‘২০১৬ সালে তৃণমূলকে হারাতে কংগ্রেস যখনই ‘হার্মাদ’ সিপিএমের হাত ধরল, তখন থেকেই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করল। এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে যে পরিবর্তন এসেছে তাতে সেই দল ছেড়ে আসা কংগ্রেস কর্মীদের অবদানও রয়েছে অনেকটা।’’ দলকে এই জেলায় চোখের মণির মতো রক্ষা করার পরামর্শ দেন শুভেন্দু।

বিজেপির মালদহ জেলা সভাপতি সুব্রত কুণ্ডুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল নেতৃত্ব সব পঞ্চায়েত দখল করার খোয়াব দেখছেন। জনগণ যাদের নির্বাচিত করেছেন তাঁদের রক্ষার দায়িত্ব জনগণেরই। কেউ জোর করে বা পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জবরদখল করতে গেলে সেই জনগণই বাধা দেবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE