প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পরেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি নিয়ে প্রশ্ন আর বিতর্কের জট যেন খুলছেই না! বীরভূমের এক শিক্ষিকা যে-স্কুলে ছিলেন, সেখান থেকে তাঁকে মাত্র ৫০ মিটার দূরত্বের অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পরে শুরু হয়েছে শিক্ষক বদলি। আর সেই বদলি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। কিছু দিন আগে মেয়েদের স্কুলে পুরুষ শিক্ষকের বদলি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। এ বার বীরভূমের বাসাপাড়ায় ওই শিক্ষিকার একই গ্রামে খুব কাছের অন্য একটি স্কুলে বদলি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, ওই বদলি হয়েছে নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে।
যাঁর বদলি নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্ক, সেই শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, বীরভূমের ব্রাহ্মণখণ্ড বাসাপাড়া হাইস্কুল থেকে তাঁকে বদলি করা হয়েছে বাসাপাড়া ব্রাহ্মণখণ্ড জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলে। অভিযোগ, একই গ্রামের ওই দু’টি স্কুলের মধ্যে দূরত্ব মাত্র কয়েক পা। শিক্ষক শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “গুগল ম্যাপে দেখা যাচ্ছে, ওই দুই স্কুলের মধ্যে দূরত্ব ৫০ মিটার। হাঁটাপথে এক মিনিট। এই বদলি সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।” কিঙ্করবাবুর আরও অভিযোগ, বদলির বিজ্ঞপ্তিতে লেখা আছে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাধারণ বদলি করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ বদলি যে শুরু হয়েছে, তার কোনও বিজ্ঞপ্তি নেই। শিক্ষকদের একাংশের মতে, সাধারণ বদলিই হোক বা বিশেষ বদলি, কোনও ভাবেই বদলির ক্ষেত্রে দু’টি স্কুলের দূরত্ব এত কম হতে পারে না।
বিষয়টি রহস্যের রূপ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলার পরে। ওই শিক্ষিকা শিক্ষা সংক্রান্ত একটি গ্রুপে জানান, বদলির জন্য তিনি আবেদনই করেননি! আরও কয়েক জনের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে। ওই শিক্ষিকার আবেদন, তিনি তাঁর এই বদলি বন্ধ করতে চান। তার জন্য কী করণীয়, কেউ সেটা বাতলে দিলে তিনি উপকৃত হবেন।
শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কার্যকাল ও স্কুল থেকে স্কুল দূরত্বের নিয়মটা কী? “সাধারণ বদলি এবং বিশেষ বদলির সর্বশেষ গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কেউ সাধারণ বদলি চাইলে যে-পদ থেকে চাইছেন, সেই পদে অন্তত পাঁচ বছর চাকরি করতে হবে এবং পুরনো ও নতুন স্কুলের মধ্যে দূরত্ব হতে হবে ২৫ কিলোমিটারের বেশি,” বলেন শিক্ষক সংগঠন, ‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস। তাঁর অভিযোগ, দেখা যাচ্ছে, বিশেষ কেউ ‘বিশেষ’ কারণে সাধারণ বদলির সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁদের সংগঠনের দাবি, স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলির প্রক্রিয়া চালু হোক।
কী ভাবে এক স্কুল থেকে এত নিকটবর্তী অন্য স্কুলে ওই শিক্ষিকার বদলি হল? শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও ভুল হলে সংশোধন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy