—প্রতীকী ছবি
ক্লাসঘরে তখনও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীটি রয়ে গিয়েছে। কিন্তু মোবাইল ফোন কানে ঘর থেকে বার হওয়ার সময়ে সে দিকে শিক্ষক দিলীপ সাহার নজর পড়েনি বলে অভিযোগ। ডাকও শুনতে পাননি ছাত্রীটির। অভিযোগ, ক্লাসে তালা দিয়ে তিনি কথা বলতে বলতে চলে যান। তার পরে দু’ঘণ্টা সেই ঘরে আটকে থাকে মেয়েটি। ঘটনাটি ধরা পড়ে বিকেল চারটে নাগাদ।
স্থানীয় বাসিন্দা, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র পাপন অধিকারী তখন অন্দরানফুলবাড়ি দত্তপাড়া মাধ্যমিক স্কুলের মাঠে খেলতে এসেছিল। পরে পাপন বলে, ‘‘আমি প্রথমে ক্লাসঘরের সামনে একটি ব্যাগ আর জুতো দেখতে পাই। তাতেই সন্দেহ হয়। ক্লাসঘরের দরজায় তালা দেওয়া। জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি, ভিতরে একটি মেয়ে বসে কাঁদছে।’’
পাপন আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। খবর যায় স্কুলের টিচার ইনচার্জ রজনীকান্ত মণ্ডলের কাছেও। চাবি খুঁজে ঘর খুলে বার করা হয় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী স্নেহা দেবকে। সে বলে, ‘‘আমি স্যারকে বলেছিলাম, ঘর থেকে বার হব। কিন্তু উনি শোনেননি।’’ মেয়েটি আর কিছু বলতে না পেরে কাঁদতে থাকে। ছাত্রীর বাবা সুশান্ত দেব বলেন, ‘‘মেয়ে বলেছে, যে শিক্ষক মোবাইলে কথা বলতে বলতে ঘরে তালা দিয়ে চলে যান। তার পরে দু’ঘণ্টা মেয়েটা আটকে ছিল। তার কিছু হয়ে গেলে কে দায় নিত!’’ রজনীকান্তবাবু বলেন, ‘‘আজ স্বাস্থ্য দফতরের একটি বৈঠক ছিল। তাই দু’টোয় স্কুল ছুটি হয়ে যায়। স্নেহার আটকে পড়াটা আমাদের দিক থেকে বড় ভুল। এমন আগে হয়নি। যাতে আর না ঘটে, সকলে নজর রাখব।’’
তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক দিলীপ সাহা ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy