Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Jhargram

লক্ষ্য পুরভোট, জনমন পড়ছে টিম পিকে

পাখির চোখ পুরভোট। সে কথা মাথায় রেখেই অরণ্যশহরে আমজনতার মন বুঝতে মাঠে নেমেছে টিম পিকে।

ঝাড়গ্রামে দিদিকে বলো কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র

ঝাড়গ্রামে দিদিকে বলো কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:২২
Share: Save:

পাখির চোখ পুরভোট। সে কথা মাথায় রেখেই অরণ্যশহরে আমজনতার মন বুঝতে মাঠে নেমেছে টিম পিকে। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার তরফে ঝাড়গ্রাম শহরে বাছাই করা পুরবাসীকে নিয়ে শুরু হয়েছে ‘দিদিকে বলো কর্মসূচি’। উদ্দেশ্য বিভিন্ন পেশাজীবী সাধারণ মানুষের মনের কথা সরাসরি শোনা। তাঁদের ক্ষোভ থাকলে দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। শাসকদলের বিরুদ্ধে পুর-সমস্যা মেটাতে খামতির অভিযোগ থাকলে তার বিস্তারিত কারণ অনুসন্ধানও শুরু করেছে পিকের টিম।

গত শুক্রবার টিম পিকে-র ব্যবস্থাপনায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি হয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনে। শহরের ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাছাই করা ৬ জন বাসিন্দাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এঁদের মধ্যে একজন ইতিপূর্বে ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করে নানা সমস্যা জানিয়েছেন। বাকিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল টিম পিকে। ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা জেলা তৃণমূলের নেতা দুর্গেশ মল্লদেব মানছেন, ‘দু’টি ওয়ার্ডের শহরবাসীদের অভাব-অভিযোগ শোনা হয়েছে।’’

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল পরিচালিত ঝাড়গ্রাম পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষের পরে প্রশাসক নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। পরে প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দুর্গেশ মল্লদেব ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রশান্ত রায়কে পুর-প্রশাসনিক বোর্ডের সরকার মনোনীত সদস্য করা হয়। শুক্রবার ‘দিদিকে বলো’র কর্মসূচিতে নিজেদের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে দুর্গেশ ও প্রশান্ত হাজির ছিলেন।

শিক্ষক-শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী, পঞ্চায়েত কর্মী, আইনজীবীর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৬ জন ‘বিশিষ্ট পুরবাসী’কে ডাকা হলেও এসেছিলেন পাঁচজন। ওই দু’টি ওয়ার্ড কমিটির লোকজন এবং আরও কিছু বাসিন্দাকেও ডাকা হয়েছিল। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা লালগড়ের বেলাটিকরি পঞ্চায়েতের কর্মী আভাস নাগ মাস খানেক আগে ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে তথ্যকেন্দ্র মোড় থেকে মঙ্গলম টাওয়ার পর্যন্ত ঢালু রাস্তার সমস্যা ও মেন ড্রেন সাফাই না হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। শুক্রবার আভাসের থেকে সরাসরি অভিযোগ শোনেন প্রাক্তন পুরপ্রধান দুর্গেশ। আভাসের মতো আমন্ত্রিত ছিলেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী সুধাংশু মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘এত উন্নয়ন সত্ত্বেও শাসকদলের লোকজন মানুষের থেকে সরে যাচ্ছেন। কারণ রাজনীতিতে এসে অল্প দিনের মধ্যে নেতা-জনপ্রতিনিধিরা ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। ’’ তিন বছরেও উড়ালপুলের তলায় দু’ধারে রাস্তা না হওয়ার বিষয়েও অভিযোগ করেন সুধাংশু। উন্নয়নে সমন্বয়ের অভাবে একটি রাস্তা আগে তৈরি হয়ে যাচ্ছে। পরে সেই রাস্তা আবার খুঁড়ে কালভার্ট ও নর্দমা তৈরি হচ্ছে। এতে টাকার অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক জয়ন্ত সিংহ আবার শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে উন্নয়নে বাধার অভিযোগ করেন।

পরে সুধাংশু ও জয়ন্ত বলেন, ‘‘আমরা দিদিকে বলো’ ফোনও করিনি।’’ আর ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে নালিশ জানানো আভাস বলছেন, ‘‘এ রকম কর্মসূচির ফলে আশা করছি সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE