কনকনে ঠান্ডায় একটু উষ্ণতা। ফাইল চিত্র।
১২..১১..১০— গত চার দিনে এ ভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে তাপমাত্রার পারদ নামছে শহরে। আবহবিদরা বলছেন, এ রকম অবস্থা আরও কয়েক দিন চলতে পারে।
রবিবার আলিপুরে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দমদমে ৯.৫ এবং শ্রীনিকেতনে ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় এ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম।
হাড় কাঁপছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেও। পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমানে তাপমাত্রার পারদ ঘোরাঘুরি করছে ৬ ডিগ্রি থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। পুরুলিয়ায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ছিল ৭.৭, বাঁকুড়ায় ৮.৮, দুর্গাপুরে ৮, বর্ধমান শহরে ৯, আসানসোলে ৭.৩, বহরমপুরে ৭.৪, রানাঘাটে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য দিকে উত্তরবঙ্গের জেলগুলোতেও তাপমাত্রা এ ক’দিনে স্বাভাবিকের থেকে বেশি কিছুটা নীচে নেমেছে। মালদহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৭।
আরও পড়ুন: সব্যসাচীর বক্তৃতায় বিতর্ক, ‘খুশি’ মুকুল
কেমোর বদলে কাজ দেবে ওষুধই, দাবি
নতুন বছরের শুরু থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। আবহবিদরা জানান, জোরাল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে কাশ্মীরে প্রবল তুষারপাত হচ্ছে। সেখান থেকে কনকনে ঠান্ডা হওয়া হু হু বেগে ধেয়ে আসছে উত্তর ভারতের দিকে। বাদ যায়নি পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোও। ফলে এ রাজ্যেও তাপমাত্রার পারদ তরতরিয়ে নেমেছে। শৈত্যপ্রবাহ বইছে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়ার মতো পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায়। শহর কলকাতাতেও যে ভাবে তাপমাত্রা নেমেছে গত কয়েক দিনে তাতে ১৮৯৯ সালের জানুয়ারির স্মৃতি উস্কে দিয়েছে শহরবাসীদের মনে। ওই বছরের ২০ জানুয়ারি মহানগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ২০১৩-তেও শহরে তাপমাত্রার পারদ নেমেছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে।
এত দিন ঠান্ডার জন্য হাপিত্যেশ করছিল বঙ্গবাসী। এ বার তাঁদের সেই চাহিদাকে পূরণ করে তরতরিয়ে নামছে তাপমাত্রার পারদ। বড় দিন পর্যন্তও এ রাজ্যের মানুষ শীতের অপেক্ষায় দিন গুনেছে। তবে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। নতুন বছর শুরু হতেই এ রাজ্যে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy