অসন্তোষ: জ্বলছে আগুন, চলছে অবরোধও। কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ। ছবি: কল্যাণ আচার্য
ময়ূরাক্ষী পেরিয়ে ময়ূরেশ্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে অপহৃত তরুণীকে— প্রাথমিক ভাবে এমনই সন্দেহ করছে পুলিশ। শনিবার লাভপুরে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি-ও। ওই সংস্থার গোয়েন্দারা এ দিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন। কথা বলেছেন অনেকের সঙ্গে।
পুলিশের অনুমান, বিজেপি নেতার মেয়েকে ময়ূরাক্ষী পার করে ময়ূরেশ্বর থানার কোনও এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার সেই ইঙ্গিত দিয়েছিল পুলিশের স্নিফার কুকুর। বর্ধমান থেকে নিয়ে আসা ওই কুকুর লাভপুর থেকে ময়ূরাক্ষী পেরিয়ে ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায় পৌঁছেছিল। সে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় তখন তদন্ত আর এগোয়নি। এ দিন ফের পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে ময়ূরেশ্বরের উলকুন্ডা গ্রামে ঘোরানো হয়। কিন্তু কোনও সূত্র মেলে। শনিবার ময়ূরাক্ষী লাগোয়া গুনুটিয়া কুঠিতেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
অপহরণের পরে কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘন্টা। লাভপুরে অপহৃত বিজেপি নেতার মেয়ের হদিস এখনও মেলেনি। পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। শনিবার লাভপুরের সীমানা ছাড়িয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে মহেশপুর, কীর্ণাহারেও। রাস্তায় রাস্তায় জ্বলেছে আগুন। হয়েছে অবরোধ। প্ল্যাকার্ডে অপহৃতকে দ্রুত খুঁজে বের করার দাবিও চোখে পড়েছে।
মহেশপুরের রাস্তায় অবরোধ। শনিবার। ছবি: কল্যাণ আচার্য
শুক্রবারও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লাভপুরের বিভিন্ন মোড়ে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। শনিবার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। এ দিন বিক্ষোভের আঁচে কীর্ণাহারেও যানবাহন, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
লাভপুরে মোড়ে মোড়ে লাঠি, বাঁশ হাতে বেরিয়েছেন বিক্ষুদ্ধ মানুষ। তাঁরা বলেন— ‘‘আমাদের একটাই দাবি। অবিলম্বে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে হবে। না হলে আমরা সরবো না।’’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাভপুরের বাবুপাড়ায় বিজেপির জেলা কমিটির এক নেতার বাড়িতে ঢুকেছিল তিন দুষ্কৃতী। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে ওই নেতার নাম ধরে খোঁজাখুজি করে তারা। তাঁকে না পেয়ে বাড়ির লোকেদের অস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নেতার স্কুলশিক্ষিকা মেয়েকে। শনিবার রাত পর্যন্ত ওই তরুণীর কোনও হদিস মেলেনি। এ দিন রাত পর্যন্ত লাভপুরে তা-ই কাটেনি উত্তেজনাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy