Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

শ্রীনু হত্যা মামলার সাক্ষ্য শুরু

ঘটনাস্থলের কিছু দূরেই বাড়ি বি মিনা কুমারির। ঘটনার পরে তিনিই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। ঘটনার দিন গুলির শব্দ পেয়ে তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। কয়েকজন যুবককে ছুটে গাড়িতে চেপে পালিয়ে যেতেও দেখেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০০:৫০
Share: Save:

শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল মেদিনীপুর আদালতে। মামলাটি চলছে মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কমল সরকারের এজলাসে। শুক্রবার সাক্ষ্য দেন শ্রীনুর শাশুড়ি বি মিনা কুমারি। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য হয়েছে আগামী ২৮ জুলাই। ওই দিনও সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক বলেন, “এ দিন থেকেই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল।”

ঘটনাস্থলের কিছু দূরেই বাড়ি বি মিনা কুমারির। ঘটনার পরে তিনিই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। ঘটনার দিন গুলির শব্দ পেয়ে তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। কয়েকজন যুবককে ছুটে গাড়িতে চেপে পালিয়ে যেতেও দেখেন। এ দিন আদালতে সেই দিনের কথা জানান এই প্রত্যক্ষদর্শী। গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। বি মিনা কুমারি পূজারই মা। দুষ্কৃতী হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর ‘ডান-হাত’ বলে পরিচিত ধর্মা রাও। জখম হয় তিনজন। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় গত ৮ এপ্রিল মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে শ্রীনু হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। চার্জশিটে ১৪ জনের নাম রয়েছে। এরমধ্যে বাসব রামবাবু-সহ ১৩ জন ধরা পড়ে গিয়েছে।

ইতিমধ্যে এই ১৩জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে। কে কাশী রাও এখনও পলাতক। চার্জশিটে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, রামবাবুই ঘটনার মূলচক্রী। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে। প্রয়োজনে ‘স্‌প্লিমেন্টারি চার্জশিট’ জমা দেওয়া হতে পারে। শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায় সাক্ষী রয়েছেন ৮৯ জন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের তানুকা থেকে রামবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে-পরে আরও ১২ জন গ্রেফতার হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র-আইন, বিস্ফোরক-আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে। এই সব ধারাতেই চার্জগঠন হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণও ছিল। তাই অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এ দিন আদালত চত্বরে প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। গত ২ মে মামলাটি দায়রা সোপর্দ হয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ ৩ মে এজলাস চূড়ান্ত হয়। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক বলেন, “এ দিন একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেই দিন যা দেখেছেন, ওই প্রত্যক্ষদর্শী সবই জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE