এই বছরে আমাদের ছোট্ট প্রচেষ্টা ছিল সেই সব মানুষকে ধন্যবাদ জানানো যাঁরা আমাদের জন্য পুজোকে করে তোলেন আনন্দোৎসবের মঞ্চ। ছবি: এএফপি।
দুর্গাপুজো এক মহাযজ্ঞ। বছরের পাঁচটা দিন মহানগরী সেজেওঠে আলোর রোশনাই।ভিড় ঠেলে আমরা যখন ঠাকুর দেখায় ব্যস্ত, যখন পরিবার পরিজনের সঙ্গে আমরা উৎসবের আমেজে ভেসে যাই, তখন কিছু মানুষ রাত জাগে আমাদেরই প্রহরায়।
যে মেয়েটি বছরের বাকি দিনগুলোয় রাত্রি দশটার মধ্যে বাড়ি ঢুকতে বাধ্য হয়, পুজোর পাঁচ দিন সে-ও মধ্যরাত্রে নিশ্চিন্তে মণ্ডপে ঘোরে সুরক্ষার ঘেরাটোপে। মণ্ডপের ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে যে সব অ্যাম্বুল্যান্স চালক, মেয়েকে হাত ধরে ঠাকুর দেখানোর পরিবর্তে যে সব ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মী যানজট সামাল দিয়ে রাস্তা করে দিয়েছেন আমাদের, তাঁদেরকে ধন্যবাদ।
পুজোর কয়েক দিন ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিয়েছেন শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাজারও ট্যাক্সি চালক, পুলিশ কর্মী, দমকল কর্মী, বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীরা। পুজোর পাঁচ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁরা সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করেছেন সারা ক্ষণ। সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট(ডিসট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষের কথায়,“পুজের সময় সিইএসসি-র ৬০০০ কর্মী দিন রাত কাজ করে থাকেন। এই সময় বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা বেশি থাকে। তবে যে কোনও পরিস্হিতির জন্য সিইএসসি সব সময় প্রস্তুত।”
অন্যদিকে দমকলের ডিজি জগমোহনবাবুর বক্তব্য,“দমকল পরিবার সারা বছরই সতর্ক থাকে পুজোর সময় আরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয় যাতে সকলেই নিশ্চিন্তে ঠাকুর দেখতে পারেন।” তাঁর কথায়, যে কোনও পরিস্হিতি মোকাবিলায় দমকল সব সময় প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: নাড়ুর নস্ট্যালজিয়ায় ফেলে আসা লক্ষ্মীপুজোর গল্প বললেন সুদীপ্তা
পুজোর সময় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বাড়ি ফেরার সময় ট্রাফিকের চোখ রাঙানি।কিন্তু কলকাতার ট্রাফিক পুলিশ আসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে সেই সমস্যা। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ ট্রাফিক অলোক সান্যালের কথায় উঠে এসেছে অন্য রকম আনন্দের হাতছানি। তাঁর মতে, পুজোর সময় দিন রাত এক করে হাড়ভাঙা খাটুনিও সার্থকতা পায় যখন তাঁরা মানুষকে নির্ঝঞ্ঝাট ও নিরাপদ পুজো উপহার দিতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: প্রেমের পুজো কাটালেন বনি-কৌশানী, দেখুন এই জুটির পুজো
এই বছরে তাই আমাদের ছোট্ট প্রচেষ্টা ছিল সেই সব মানুষকে ধন্যবাদ জানানো যাঁরা আমাদের জন্য পুজোকে করে তোলেন আনন্দোৎসবের মঞ্চ। আনন্দবাজার পত্রিকার ডিজিটালের সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “একদল মানুয থাকেন যারা মঞ্চের নেপথ্যে থেকে কাজ করে যান যাতে সব কিছু সুচারু ভাবে সম্পন্ন হয়। এই যে পুজোর দিনগুলো নির্বিঘ্নে, মসৃণ ও সুষ্ঠু ভাবে পার করে এলাম, সেটা করতে পারলাম তাঁদেরই জন্য। ন্যূনতম ধন্যবাদটুকুও পান না যাঁরা, তাঁদের কুর্নিশ জানানোও তো দরকার! সেই চেষ্টাই করেছি আমরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy