প্রতীকী ছবি।
এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে ঠিকই। তবে স্কুলশিক্ষক নিয়োগের ওই পরীক্ষা শুরুর আগে কোনও পরীক্ষার্থীর হাতেই প্রশ্নপত্র পৌঁছয়নি বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। ২০১৫ সালে টেটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতে এক পরীক্ষার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে এ কথা জানানো হয়।
শিক্ষা দফতরের খবর, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশের অভিযোগ, অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্ন ফাঁস করে দেন ডায়মন্ড হারবার এলাকার এক শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে ৪ জুলাই আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করেছেন তদন্তকারী অফিসার।
এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই চার্জশিটের প্রত্যয়িত প্রতিলিপি পেশ করেন। অমিতেশবাবু জানান, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে যে-শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তিনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কয়েক জন সাংবাদিকের কাছে ওই প্রশ্ন পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
আবেদনকারীর কৌঁসুলি সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পরীক্ষার আগে যাঁদের মোবাইলে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের ফোনগুলি হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল)-তে পাঠানো হয়েছিল। সিএফএসএল জানিয়েছে, ১১ অক্টোবর, পরীক্ষার দিন বেলা ১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ওই প্রশ্নপত্র যায় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন শিক্ষাসচিব অর্ণব রায়ের কাছে। টেট শুরু হয়েছিল বেলা ২টোয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy