Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

নুরুলের মায়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর

দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা নিয়ে স্বরূপনগরে পৌঁছন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। যথাযথ মর্যাদায় আছিয়া বিবির শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশও দেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৩
Share: Save:

খাদ্য আন্দোলনে বামফ্রন্টের মিছিলের উপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। গুলিতে মৃত্যু হয় নুরুল ইসলামের। স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া বহুমুখী বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন খাদ্য আন্দোলনের মিছিলে শরিক হয়েছিল নুরুল। সেই ‘শহিদ’ নুরুলের মা আছিয়া বিবি মঙ্গলবার ভোরে মারা গেলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা নিয়ে স্বরূপনগরে পৌঁছন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। যথাযথ মর্যাদায় আছিয়া বিবির শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশও দেন। আছিয়ার মৃত্যুতে আজ, বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়া হাইস্কুল এবং কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আছিয়া বিবির মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় বাড়ে তাঁর বাড়িতে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও এসে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক তথা জেলাপরিষদের সভাধিপতি বীনা মণ্ডল, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় জানান, খাদ্য আন্দোলনের শহিদ নুরুল ইসলামের মা আছিয়া বিবির প্রয়াণে আমি গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করছি। প্রতি বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশে সক্রিয় অংশ নিতে এই অশীতিপর মানুষটি অত দূর থেকে ছুটে আসতেন। তাঁর এই নিষ্ঠা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি তাঁর শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে সাড়ে চারটে নাগাদ বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর ব্লকের তেঁতুলিয়ার বাড়িতে আছিয়া মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর শহিদ ছেলে নুরুলের নামাঙ্কিত ‘শহিদ নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ে’। যাত্রাপথে শামিল হন জ্যোতিপ্রিয়ও। সেখানে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রী আছিয়া বিবির মরদেহে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘একটা সময়ে নুরুল ইসলামের মৃত্যুকে সামনে রেখে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল বামফ্রন্ট। অথচ নুরুলের পরিবারকে তারা মনে রাখেনি। মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু শহিদের পরিবারকে যোগ্য সম্মান দিয়েছেন।’’ জ্যোতিপ্রিয় আরও জানান, ১৯৬৬ সালে শহিদ নুরুলের দেহ নিয়ে কলকাতায় মিছিল করেছিল সিপিএম।

আছিয়া বিবির নাতি রাজু মোল্লা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আমাদের পরিবারকে যে মর্যাদা দিয়েছে, তা কোনও দিন ভুলব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Condolence Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE