Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

গুরুং-জট মেটানোর নির্দেশ

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন— সোমবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্ট। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাইকোর্ট। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০২:২১
Share: Save:

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন— সোমবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে মোর্চার বর্তমান এবং প্রাক্তন নেতৃত্বের বক্তব্য শুনে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।

এ দিন মামলার শুনানির সময়ে মামলাকারী অনীত থাপার আইনজীবীরা বলেন, ‘‘আসন্ন লোকসভা ভোটে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নামে প্রার্থী হতে পারেন বিমল গুরুং এবং রোশন গিরি— এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে মোর্চার বর্তমান নেতৃত্ব।’’ তাঁদের আরও দাবি, ‘‘নির্বাচন কমিশনের রেকর্ড অনুযায়ী এখন মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং এবং সম্পাদক রোশন গিরি। নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে তাঁদের নাম সরানোর আবেদন করা হলেও কমিশন কোনও পদক্ষেপ করছে না।’’ কমিশনের পাল্টা দাবি, মোর্চা রেজিস্টার্ড পার্টি হলেও স্বীকৃত রাজনৈতিক দল নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো শতাংশের বিচারে নির্দিষ্ট কোনও প্রতীক ব্যবহার করতে পারে না তারা।

বিমল গুরুং ও রোশন গিরির পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৭-এ বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। কখনওই তাঁরা প্রতীক দাবি করতে পারেন না। এর প্রেক্ষিতে অনীতের আইনজীবীরা দাবি করেন, ২০১৮-র অগস্টে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে আবেদন জানান। প্রতীকের দাবিতে ভোটাভুটিও হয় মোর্চায়। দেখা যায়, ১৪৩ জন বিনয় তামাংদের পক্ষে। এর ঠিক এক দিন পরে বিমল গুরুং কমিশনে একটি চিঠি দিয়ে জানান, তাঁরাই কমিশনের স্বীকৃতি পাওয়া রাজনৈতিক দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE