মামলার পাহাড় জমেছে। অথচ কলকাতা হাইকোর্টে অর্ধেকেরও বেশি বিচারপতি-পদ খালি। এই অবস্থায় অবিলম্বে পর্যাপ্ত সংখ্যায় বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। আদালত সূত্রের খবর, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কমবেশি চারশো আইনজীবীর সই সংবলিত একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে।
ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে ৭৬ জন বিচারপতি থাকার কথা। কিন্তু এখন আছেন মাত্র ৩৩ জন। চলতি মাসে এবং আগামী মাসে আরও চার জন বিচারপতি অবসর নিতে চলেছেন। অবিলম্বে অন্তত ৫০ জন বিচারপতি নিয়োগ না-হলে জমে থাকা কয়েক লক্ষ মামলার নিষ্পত্তি কী ভাবে হবে, তা কেউ জানেন না।
প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অরুণাভ ঘোষেরা জানান, কলকাতা হাইকোর্ট দেশের প্রাচীন হাইকোর্টগুলির অন্যতম। অপেক্ষাকৃত নবীন হাইকোর্টগুলিতেও সম্প্রতি প্রয়োজনীয় সংখ্যায় বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি।
হাইকোর্টের কয়েক জন প্রবীণ আইনজীবী জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে সম্প্রতি এজলাসে বসেই মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি এখন আর সুপ্রিম কোর্টের হাতে নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে গিয়েছে। বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি এখন রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপরে নির্ভর করছে।’’ তার আগে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিন সংক্রান্ত একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তও তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়ার অন্যতম কারণ বিচারপতির অভাব। তার পরেই বিচারপতির অনেক পদ শূন্য পড়ে থাকার বিষয়টি তিনি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেন বলে হাইকোর্ট সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy