হাসপাতাল চত্বরে এ ভাবেই পড়ে থেকে মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধের। —ফাইল চিত্র।
হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থেকে বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে তদন্তে এল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। হাসপাতালে সে সময়ে কারা ডিউটিতে ছিলেন, খোঁজ নেন তাঁরা। কোথায় পড়ে গিয়ে মারা গেলেন বৃদ্ধ, সে সবও খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন হাসপাতালে সুপারের সঙ্গে।
সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো এ দিন বলেন, ‘‘গাফিলতি অবশ্যই ছিল। আমাদের তরফে ঘটনাস্থলে ছিলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। তিনি ওয়ার্ডমাস্টারকে খবর দিতে পারতেন। কিন্তু তা দেননি। নিজেও ওই বৃদ্ধকে সাহায্য করতে পারতেন। তা-ও তিনি করেননি।’’
শনিবার হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে করোনা উপসর্গ থাকা বৃদ্ধকে রেফার করা হয়েছিল ব্যারাকপুর কোভিড হাসপাতালে। ওয়ার্ড থেকে তাঁকে ধরে বের করার মতো কোনও সাহায্য পাননি বৃদ্ধের স্ত্রী। নিজেই ধরে ধরে স্বামীকে নিয়ে রওনা দেন অ্যাম্বুল্যান্সের দিকে। পুরনো জরুরি বিভাগের সামনে পড়ে যান বৃদ্ধ। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। প্রায় আধ ঘণ্টা সেখানেই পড়ে থেকে মারা যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪টি অ্যাম্বুল্যান্সে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত রোগী বা করোনা উপসর্গ থাকা রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। বেসরকারি ও সরকারি যৌথ উদ্যোগে এই অ্যাম্বুল্যান্সগুলি চলে। সে সম্পর্কেও এ দিন খোঁজ-খবর করে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল। তবে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি তাঁরা। তদন্ত রিপোর্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতালের পক্ষ থেকেও তিন সদস্যের কমিটি গড়ে তদন্ত হচ্ছে। আজ, বুধবার সেই রিপোর্ট সুপারের কাছে জমা পড়ার কথা।
এ দিন বিকেলে বিজেপির পক্ষ থেকে সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বনগাঁয় কোভিড হাসপাতাল তৈরিরও দাবি করা হয়েছে। এসইউসি-র পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষ। এ বিষয়ে সমিতির চেয়ারম্যান তথা বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা সব দিক খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy