—ফাইল চিত্র।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পৌঁছল নবান্নে। গত শুক্রবার মুখ্যসচিব মলয় দে এই চিঠি পেয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। আজ-কালের মধ্যে ডিজি বীরেন্দ্রসহ আরও পাঁচ আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে চিঠি আসতে পারে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আদৌ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, নেওয়া হলে কী ধরনের পদক্ষেপ করা হবে, তা ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবের অফিস থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হতে পারে। তিনি ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে বললে তা চালু করা হবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়ে রেখেছেন, রাজীব কুমার কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গের কাজ করেননি। মেট্রো চ্যানেলে কোনও ধর্না মঞ্চেও বসেননি কলকাতার পুলিশ কমিশনার। গত ৩ ফ্রেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী যখন সত্যাগ্রহে বসেছিলেন তখন তাঁর নিরাপত্তার তদারকি করতেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজীব। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী বার বার ঘোষণা করেছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুক্তি অবশ্য ভিন্ন। মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, পুলিশ কমিশনারের বাড়ির সামনে মুখ্যমন্ত্রী গত ৩ ফেব্রুয়ারি যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, সেখানেই ধর্মতলায় ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পর সেখান থেকেই মেট্রো চ্যানেলে চলে যান। তাঁর পাশে গিয়ে বসে পড়েন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, এডিজি(আইন-শৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহ, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিনীত গোয়েল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই সব ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখেই আইপিএস অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ ও পুলিশ পদক কেড়ে নেওয়া কথা জানিয়েছে।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রক ফের জানতে চাইলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy